বাংলায় প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিল্প গড়তে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে শিল্পায়নই যে পাখির চোখ, তাঁর সরকারের আগের দু’দফায় তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। যার ফলস্বরূপ বাংলায় শিল্পে বেসরকারি বিনিয়োগ আগের তুলনায় বেড়েছে। এমএসএমই বা ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশের পরেই পশ্চিমবঙ্গের স্থান, বলছে রিপোর্ট।
সম্প্রতি এমএসএমই এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল এবং কনফেডারেশন অফ অরগ্যাতনিক ফুড প্রোডিউসার্স অ্যান্ড মার্কেটিং এজেন্সি যৌথভাবে ‘বিনিয়োগ- পশ্চিমবঙ্গে বৃদ্ধি ও উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি সমীক্ষাপত্র প্রকাশ করেছে। সেখানেই এমএসএমই ইপিসি-র চেয়ারম্যাান ডিএস রাওয়াত শুক্রবার এই সমীক্ষা রিপোর্টটি পেশ করতে গিয়ে বলেছেন, ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের শেষে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে চলা কয়েকটি বড় লগ্নিকে মাধ্যম করে বিনিয়োগ ও কাজ শেষের ক্ষেত্রে বড় বৃদ্ধি ঘটবে। এরই মধ্যে নতুন তথ্য সামনে এল যা কলকাতায় চাকরির বাজার আরও বড় হতে চলেছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
সম্প্রতি একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের টেক হাব সল্টলেক সেক্টর ফাইভ ও রাজারহাটে অফিসের চাহিদা গত দশ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। কোভিড পরবর্তী অডিটে এই তথ্য সামনে উঠে এসেছে। বর্তমানে ইনফোসিসের একটি ৫০ একর জমিতে কোম্পানির একটি ক্যাম্পাস তৈরি হচ্ছে। আবার আইটিসি ইনফোটেকও রাজারহাটে একটি ক্যাম্পাস তৈরি করছে। অন্যদিকে, এলএন্ডটি ইনফোটেক, মাইন্ডট্রি, জেনসার, ক্যালসফ্টের মতো কয়েকটি বড় কোম্পানি প্রথমবার কলকাতায় অফিস খুলেছে। মানি গ্রুপ সম্প্রতি রাজারহাট, মানি ক্যাসাডোনায় সবচেয়ে বড় অফিস স্পেস তৈরি করেছে।
আসলে করোনা মহামারির পরে কর্মীদের যখন পুনরায় অফিসে যোগ দিতে বলা হয়, তখন দেখা যায় অধিকাংশই তাঁদের নিজেদের শহরে ফিরে গিয়েছে। এই কর্মীদের মধ্যে একটা বড় অংশ ছিল কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকার। পুনরায় অফিস ডেকে নেওয়ার ফলে, অনেক কর্মী পুরনো কোম্পানিতে ফিরে যেতে পারে, এমন আশঙ্কাও জোরদার হচ্ছিল কোম্পানিগুলির কাছে। আর সেই কারণেই প্রতিভাবান কর্মীদের ধরে রাখার জন্য যেখানে বেশি সংখ্যক কর্মী সহজে পৌঁছতে পারে এমন জায়গায় অফিস তৈরির দিকে নজর দেয় কোম্পানিগুলি। সেই কারণেই রাজারহাট ও সেক্টর ফাইভ-এ অফিসের চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই।