সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলা পুলিশের ‘অঙ্কুর’ প্রকল্পে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রান্তিক এলাকার কচিকাঁচাদের পড়ানোর কাজে লাগানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আর তারপরেই এ নিয়ে শোরগোল শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। অবশেষে রবার বিভ্রান্তি কাটাতে ‘অঙ্কুর’ প্রকল্প নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি সাফ বুঝিয়ে দিলেন, কোনও সিভিক ভলান্টিয়ারকে শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এটা পুলিশের কমিউনিটি প্রোগ্রাম। যাঁরা যোগ্য, তাঁরা অবসর সময়ে প্রান্তিক এলাকার ছোটদের পড়াবেন। এটা তাঁদের কাজের মধ্যেই পড়ে।
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে একটি সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছিল, প্রায় ৮০০টি স্কুলে পড়ুয়া তিরিশেরও কম। আর তারপরেই জেলায় শিক্ষার হাল ফেরাতে ‘অঙ্কুর’ প্রকল্প নেয় বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। জঙ্গলমহল এলাকার পাঁচটি থানা এলাকার প্রতিটি অঞ্চলে একটি করে প্রাথমিক স্কুল এবং জেলার অন্যান্য থানা এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলিকে ‘অঙ্কুর’ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এই প্রকল্প অনুযায়ী, দু’জন করে সিভিক ভলান্টিয়ার স্কুলের নির্দিষ্ট সময়ের পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পড়াবেন। অর্থাৎ সিভিক ভলান্টিয়াররাই হয়ে উঠবেন পড়ুয়াদের ইংরাজি কিংবা অঙ্কের শিক্ষক।
এরপরই কেন সিভিক ভলান্টিয়াররা পড়াবেন, সেই প্রশ্ন তুলে শোরগোল শুরু হয় নানা মহলে। পরিস্থিতি এমনই হয় যে অবশেষে বিভ্রান্তি মেটাতে আসরে নামেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘এটা না জেনে অপব্যাখ্যা হচ্ছে। বিকৃত প্রচার চলছে। পুলিশের কমিউনিটি সার্ভিসের একটা অংশ এই অঙ্কুর প্রকল্প। সিভিক ভলান্টিয়াররা তো স্কুলে ক্লাস নিতে যাচ্ছেন না। তাঁরা ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস করছেন। কোথাও তাঁরা বয়স্কদের সাহায্য করবেন, কোথাও প্রান্তিক এলাকার ছেলেমেয়েদের স্কুলের বাইরে পড়াবেন। এর সঙ্গে স্কুল শিক্ষা দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। খোঁজ নিয়ে দেখুন, সিভিক ভলান্টিয়াররা আগেও এমন অনেক ভাল কাজ করেছেন।’