অ্যাসিড টেস্ট পঞ্চায়েত। কঠিন সময়, চ্যালেঞ্জ অনেক। কী রণ কৌশলে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেবে তৃণমূল? কী স্ট্র্যাটেজি সামনে আনবেন মমতা। সেই উত্তর পেতেই আজ কালীঘাটে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কালীঘাটে দলের একাধিক শীর্ষ নেতা ও সাংগঠনিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে দায়িত্বেও বদল আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই সূত্রেই নদিয়া জেলার দায়িত্ব দেওয়া হল অরূপ বিশ্বাসকে আর বাঁকুড়ার দায়িত্বে মলয় ঘটক। মালদহ ও মুর্শিদাবাদ দেখবেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ও মোশারফ হোসেন। এদিকে, সাগরদিঘির ফলে ধাক্কা খাওয়ার পর তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্ব দেওয়া হল মোশারফ হোসেনকে। এই পদে আগে ছিলেন হাজী নুরুল।
এদিন বৈঠকের পর দলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দল দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচী নিয়ে আরও কাজ করবে৷ এটার গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হবে। জনসংযোগ বাড়াতে হবে। নানাবিধ ১১ বছরের কর্মসূচি, সেগুলোকে প্রচারে বেশি করে আনা হবে। তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজেদের দর্শন অনুযায়ী চলবে।’
সুদীপের কথায়, ‘কংগ্রেস বিরোধী দলের ভূমিকা পালনে ব্যর্থ। নানা ভাবে ব্যতিব্যস্ত করছে। আগামীদিনে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে কথা চালাব। আজ অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক। ২৩ তারিখ নবীন পট্টনায়ক মিটিং করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনদিন করে জেলা নিয়ে বসবেন প্রতি সপ্তাহে। সমস্ত ভাবে পঞ্চায়েতের প্রচার নিয়ে আলোচনা হয়েছে।