গত বছর অক্টোবর মাসে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে প্রায় ১১,৭৬৫টি শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ইন্টারভিউ শুরু হয়েছিল ডিসেম্বরের শেষে। সম্প্রতি অষ্টম দফার ইন্টারভিউয়ের সূচি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই দফায় আগামী ২০ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত কর্মস্থান হিসাবে হাওড়া জেলা নির্বাচনকারী প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। এরই মধ্যে এবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানালেন, চলতি বছর মে মাসের মধ্যেই প্রাথমিকে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে। বুধবার সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, ’প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের থেকে এখনও সম্পূর্ণ রিপোর্ট পাইনি। আমার কাছে যা খবর, মে মাসের মধ্যেই প্রাথমিকে ১২ হাজার নিয়োগ দিতে পারব।’ প্রাথমিকে আরও কিছু শূন্যপদ চিহ্নিত করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। সেগুলি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
অন্যদিকে, প্রধান শিক্ষক, উচ্চপ্রাথমিক, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে নতুন করে স্কুলে প্রায় ২২ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা আগেই করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তখনই জানিয়েছিলেন, নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আগে নিয়োগ বিধিতে রদবদল করা হবে। বুধবার তিনি জানালেন, প্রয়োজনীয় সংশোধন করে নিয়োগ বিধির খসড়া প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। যা শীঘ্রই মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে। তারপরই ধাপে ধাপে নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ব্রাত্যর কথায়, ’প্রধান শিক্ষক নিয়োগে এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে চলে যাব। ধাপে ধাপে প্রত্যেকটা স্তরে নতুন নিয়োগের পথে যাব।’ ইন্টারভিউয়ের লাইভ ভিডিওগ্রাফি করা হবে, ওএমআর শিট ১০ বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হবে, এই রকম কয়েকটি নিয়মের সংযোজন করা হয়েছে নিয়োগের বিধিতে।