এবার মাদক উদ্ধার অভিযানে বড়সড় সাফল্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। সল্টলেক সেক্টর ফোরের চার নম্বর ভেড়ি সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফ। উদ্ধার হওয়া মাদকের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
পুলিশ সূত্রে খবর, সেক্টর ফোরের ৪ নম্বর ভেড়ি সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করতেন ছাগল ব্যবসায়ী মহম্মদ মোমিন খান। নবনির্মিত একটি অ্যাপার্টমেন্টের পাঁচ তলার ফ্ল্যাটে বছর খানেক আগে থেকে বসবাস করতে শুরু করেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রতিবেশীদের দাবি খান সাহেব নামেই বিল্ডিং এ পরিচিত ছিলেন মোমিন খান। স্থানীয়দের সঙ্গে খুব বেশি সখ্যতা না গড়ে ওঠায় তার বিষয়ে খুব বেশি কিছুই জানতেন না প্রতিবেশীরা। তবে তার ফ্ল্যাটে ছাগল রাখায়, ছাগলের ব্যবসায়ী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি।
বুধবার বিকেলে এলাকায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের প্রায় ১৪ জন আধিকারিক ঢুকে তল্লাশি অভিযান শুরু করলে সম্ভবত হকচকিয়ে যান এলাকাবাসীরা। প্রায় ১৪ ঘণ্টার বেশি সময় তল্লাশি অভিযান চলার পরে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় প্রায় পাঁচ কেজির বেশি ব্রাউন সুগার হেরোইন সহ বেশ কিছু নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য। উদ্ধার হওয়া মাদকদ্রব্যের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকারও বেশি। মাদকদ্রব্য ছাড়াও নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা এবং বেশ কিছু গহনা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স মাদকের খোঁজে বুধবার প্রথমে অভিযান চালায় পার্ক সার্কাসের একটি ঠিকানায় সেখান থেকেই মোমিন খানের সল্টলেকের ঠিকানা পায় পুলিশ। তারপর বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত একটানা অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই মাদকচক্রের মূল পান্ডা ছিলেন মহম্মদ মোমিন খান এর স্ত্রী। তার স্ত্রী এর আগেও পুলিশের জালে ধরা পড়েছিলেন। পরে আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাইরে ছিলেন তিনি। ফের একবার মাদক উদ্ধারের ঘটনায় তাকে এবং তার স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।