আজ, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। বাংলার বিভিন্ন বনাঞ্চল লাগোয়া গ্রামগুলির পরীক্ষার্থীরা যাতে সহজে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারে, সেজন্য উদ্যোগী হল রাজ্য বন দফতর। চালু থাকছে কন্ট্রোল রুম। আজ বন দফতরের গাড়িতেই পরীক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া, আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন, জলপাইগুড়ি জেলার মহারাজঘাটের বাসিন্দা এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অর্জুন দাস বেলাকোবা হাইস্কুলে তার পরীক্ষাকেন্দ্রে মাধ্যমিক পরীক্ষায় যাওয়ার সময় ভালোবাসা মোড় জঙ্গল এলাকায় হাতির আক্রমণে প্রাণ হারায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্যের বন দফতর অরণ্যভবনে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিঙের জেলাশাসক এবং এই জেলাগুলির বন দফতরের এর সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্স করা হয়। জঙ্গলগুলির প্রবেশপথে ড্রপগেট নির্মাণ, ড্রপগেট থাকলে তার মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের উপর বিশেষ জোর দিয়েছে রাজ্য।
পাশাপাশি, জঙ্গল সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামগুলিতে হাতি-সহ অন্যান্য হিংস্র জন্তুদের হানার প্রতিরোধস্বরূপ ব্যবস্থাগ্রহণ, জঙ্গল এলাকায় জনসচেতনতার যথাযথ বিজ্ঞপ্তি-প্রকাশ, জঙ্গল এলাকায় মাইক দিয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার, সংশ্লিষ্ট জঙ্গলগুলির মধ্যের রাস্তাগুলির সাবধানতার সঙ্গে ব্যবহার, প্রয়োজনস্বরূপ এলাকার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য যদি জঙ্গলের রাস্তা ব্যবহার করতে হয় সেক্ষেত্রে বন দফতর নিজস্ব দায়িত্বে সেই সকল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে তাদের নির্দিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া ও বাড়িতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে বন দফতরের গাড়ি ভাড়া করা, ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অরণ্যভবনে এ বিষয়ে (মোবাইল নম্বর- ৯৪৩৩১৪৭৯০৪) একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিষয়টিতে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে উচ্চমাধ্যমিক, আইসিএসই, সিবিএসই, আইএসসি, সিবিএসসি+২ পরীক্ষা না শেষ হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন জেলাগুলির বন দফতরের আধিকারিক-সহ সকল কর্মচারীদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। জেলাশাসক ও শিক্ষা দফতরের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।