পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এবার মুখ্যমন্ত্রী দফতরের “গ্রিভেন্স সেল” কে আরও চাঙ্গা করতে তৎপর নবান্ন? অন্তত তেমনটাই ইঙ্গিত মিলছে রাজ্যের প্রশাসনিক মহল সূত্রে। সম্প্রতি রাজ্যের কর্মী বর্গ দফতরের তরফে আরও ৭ আধিকারিককে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভেন্স সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বেশিরভাগ আধিকারিককেই অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে দেওয়া হয়েছে।তার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রশ্ন নবান্নের অন্দরে ঘোরাফেরা করছে তাহলে কি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে আসা অভিযোগে সব নিষ্পত্তি দ্রুত করতে চায় নবান্ন?
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রিভেন্স সেল নিয়ে রাজ্যের সব দফতরের সচিবদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে সাধারণ মানুষের থেকে আসা অভিযোগে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, প্রত্যেকটি দফতরকে পৃথক পৃথক টাস্ক ফোর্স গঠন করতে বলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তারপর এবার সাত আধিকারিককে নিয়োগকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে খবর ১৯৯৩ সালের ডাবলুবিসিএস ব্যাচের পার্থ ঘোষ কে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের স্পেশাল সেক্রেটারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১৯৯৬ সালের ডাবলুবিসিএস ব্যাচের অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের জয়েন্ট সেক্রেটারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০০২ সালের ডাব্লুবিসিএস ব্যাচের দেবাঞ্জন রায়কেও মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের গ্রিভেন্স সেলের জয়েন্ট সেক্রেটারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২০১১ ব্যাচের অরুণ পালকে ডেপুটি সেক্রেটারি করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের গ্রিভেন্স সেলের।