কৃষিক্ষেত্রে ফের তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। প্রসঙ্গত, চলতি খরিফ মরশুমে মোট ৫৫ লক্ষ টন ধান সরকারি উদ্যোগে চাষীদের কাছ থেকে কেনা হবে বলে ঠিক হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৫ লক্ষ টন ধান ইতিমধ্যে কেনা হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে আরও ৫ লক্ষ টন ধান বেশি কেনা হবে। সেই মতো প্রত্যেক জেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা আগের তুলনায় কিছুটা করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এটাও জানানো হয়েছে যে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার যে দামে ধান কিনেছে সেই দামেই বাড়তি আরও ৫ লক্ষ টন ধান কেনা হবে। অর্থাৎ কুইন্ট্যাল প্রতি ২,১৪০ টাকা। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত ধান কেনার জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই মরশুমে স্থায়ী সরকারি ক্রয় কেন্দ্রগুলি থেকে ৩৪ লক্ষ টন ধান কেনার কথা ছিল। সেটা বাড়িয়ে ৩৭ লক্ষ ২০ হাজার টন করা হয়েছে।
পাশাপাশি, বেনফেড, কনফেড সহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মাধ্যমে ২১ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। সেটা বাড়িয়ে ২২.৮ লক্ষ টন করা হয়েছে। এবারে খোলাবাজারে দাম তুলনামূলক বেশি হলেও সরকারি দামের থেকে কিছুটা কম। রাজ্যে এখন নথিভুক্ত চাষির সংখ্যা ৩০ লক্ষের বেশি। যদিও এর মধ্যে ১৬ লক্ষের বেশি চাষি সরকারের কাছে ধান বিক্রি করেছেন। রেশন গ্রাহকদের আগামী এক বছর সাধারণ বরাদ্দের চালের জোগান দিতে প্রয়োজনীয় ধান রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে কিনে ফেলেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে গম না পাওয়ার জন্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকদের জন্য আগামী কয়েক মাস অতিরিক্ত চাল প্রয়োজন বলে মনে করছে রাজ্য খাদ্যদফতর। এই অতিরিক্ত চাল গত কয়েক মাস খোলা বাজার থেকেই কেনা হচ্ছিল। কিন্তু এতে খরচ বেশি পড়ছে। রাজ্য সরকার অনেকদিন ধরে চাইছে, কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা রাজ্য থেকে আরও বেশি ধান কিনুক। তাহলে আরও লাভবান হবেন কৃষকরা। যদিও কেন্দ্রীয় সংস্থা সেই পথে হাঁটেনি একেবারেই।