নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে খুন, ধর্ষণ— যোগী আদিত্যনাথের আমলে বারবারই সামনে এসেছে উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের দুরাবস্থার কথা। যোগী রাজ্যে মহিলা ও শিশুদের ওপর সংঘটিত অপরাধের অন্ত নেই। এবার যোগী রাজ্যে গণধর্ষণ এবং নারকীয় নির্যাতনের শিকার এক নাবালিকা। জানা গিয়েছে, আচমকা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল পনেরো বছরের মেয়েটি। তারপর বাড়ির সামনেই অর্ধমৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তাকে। হাড় ভেঙে গিয়েছিল, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ফুটো করে দেওয়া হয়েছিল খুলি। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে খুনেরও চেষ্টা করা হয়েছিল। তারপর মরার জন্য ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছিল রাস্তায়। অবশেষে চিকিৎসকরা জানালেন, গণধর্ষণ করা হয়েছিল কিশোরীকে, তার সঙ্গে নারকীয় নির্যাতন করা হয়েছিল তার উপর।
গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় বাড়ি থেকে কয়েক মিটার দূরে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে ওই নাবালিকাকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নাবালিকার হাতে এবং মুখে একাধিক ক্ষত রয়েছে। কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফুটো করে দেওয়া হয়েছে তার মাথার খুলি। গণধর্ষণ করার পাশাপাশি নৃশংস নির্যাতন চালানো হয়েছে তাঁর ওপর। শ্বাসরোধ করে খুন করারও চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অনুমান চিকিৎসকদের। নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, মেয়ের পোশাক রাস্তাতেই এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল। কিশোরীর সারা গায়ে কাঁটা লেগে ছিল। তাছাড়া তার গলাতেও কালশিটের দাগ ছিল, যা থেকে অনুমান, ওড়না পেঁচিয়ে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল তাকে।
পুলিশের এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, অত্যাচারের তীব্রতা সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে নির্যাতিতার বেশ কিছু জটিল শারীরিক পরীক্ষা করানো হচ্ছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গণেশ (২৪) এবং সন্তোষ (২৩) নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপরাধে ব্যবহৃত তাদের বাইকটিও উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্তদের একজনকে কিশোরী আগে থেকে চিনত। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্ত সন্তোষ এবং গণেশের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা, ৩০৮ ধারা এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। পরে অপহরণ এবং খুনের চেষ্টা ধারাও যোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।