সম্প্রতি রাজ্য বাজেটে ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের একাংশের বক্তব্য, মাত্র ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত তাঁরা মানছেন না। দাবি মেনে ৩৮ শতাংশ ডিএ না মেটানো পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এরই মধ্যে এবার কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে আরজি এল, ডিএ দিতে হবে না। দরিদ্র মানুষকে সামাজিক প্রকল্পে টাকা দিন। তাও আবার এমনই দিনে যেদিন বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল বাম সমর্থিত যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার ১২৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মেয়রের কাছে ফোন আসে। ঠাকুরপুকুর এলাকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘যাঁরা ৫০, ৬০ হাজার টাকা করে মাইনে পাচ্ছে। তারা আরও টাকা চাইছে। কথায় কথায় ধর্মঘট করছে। এদিকে গরীব মানুষকে নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা নেই।’ মেয়রকে ফোন করে তাঁর আরজি, ‘আমার স্বামী বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করত। দু’হাজার টাকা পেনশন পায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী বড় উপকার করছে। ডিএ দিতে হবে না। আমাদের দেখুন।’
মেয়র আশ্বস্ত করেছেন ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওই বাসিন্দাকে। জানিয়েছেন, ‘আগে আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেব। স্বাস্থ্যসাথী দেব। তারপর পারলে ডিএ দেব। গরীব মানুষরা আমাদের অগ্রাধিকার।’ ফিরহাদের দাবি, ‘সরকারি চাকরি করেন হাতে গোনা মানুষ। অধিকাংশই বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। কেউ ছোটখাটো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাদের একটা ভয় আছে।’ তাঁর মতে, ‘দাবি অনুযায়ী হারে ডিএ দিতে গেলে রাজ্য সরকারের ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। গরীব মানুষরা আতঙ্কিত। তাঁরা ভাবছেন ডিএ দিতে গেলে বোধহয় সামাজিক প্রকল্পগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।’