রেলে ঘুষের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার মামলায় রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদবকে গ্রেফতারের তোড়জোড় শুরু করেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একই মামলায় এবার তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং বড় মেয়ে রাজ্যসভার সদস্য মিসাকেও গ্রেফতার করতে পারে সিবিআই, এমনই আশঙ্কা করছে তাঁদের দল ও ঘনিষ্ঠমহল।
গত সপ্তাহে লালুপ্রসাদ, রাবড়িদেবী এবং মিসাকে জেরার পর শুক্রবার সকাল থেকে দিল্লি ও পাটনায় একাধিক জায়গায় অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল লালুপ্রসাদের কাছের লোক বলে পরিচিত প্রাক্তন আরজেডি বিধায়ক আবু দোজানার পাটনার বেইলি রোডের বাড়ি। একই এলাকায় আরও কয়েকজন আরজেডি নেতার বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই। দোজানাকে আগেও জেরা করে সিবিআই এবং ইডি।
একই সময়ে দিল্লিতে ১৫টি জায়গায় অভিযান শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রেলে ঘুষের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার মামলাতেই এই অভিযান বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। ইডির তদন্তের বিষয় বেআইনিভাবে অর্থ লেনদেন।
সিবিআই সূত্রে খবর, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তারা এই মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করবে। ২৫ মার্চ দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে মামলার শুনানি হওয়ার কথা। ওই দিন লালুপ্রসাদ, রাবড়ি দেবী এবং তাঁদের মেয়ে মিসাকে সশরীরের আদালতে হাজিরা দিতে হবে। তাঁদের আগাম জামিনের আর্জির শুনানি হবে সেদিন। গতমাসে বিচারক নির্দেশ জারি করেন, শুনানিতে অভিযুক্তদের সশরীরে হাজির থাকতে হবে।
তদন্তের গতিপ্রকৃতি এবং মামলা নিয়ে সিবিআইয়ের তৎপরতায় লালুপ্রসাদের দলে দুশ্চিন্তা বেড়েছে। এই দফায় আরজেডি সুপ্রিমোর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী এবং কন্যাকেও সিবিআই গ্রেফতার করতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। সেই লক্ষ্যেই গোয়েন্দারা তদন্ত এবং মামলা সাজাচ্ছেন বলে আরজেডির আশঙ্কা।