কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন। সম্প্রতি শহরের একটি বেসররকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছিল যে মাত্র সাতদিনের ব্যবধানে চিকিৎসককে দেখাতে এলেও ফি দিতে হচ্ছে। এই খবর রাজ্যের বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলির নিয়ামক সংস্থার কানে যেতেই, নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল যে ১৫ দিনের মধ্যে চিকিৎককে দেখাতে গেলে কোনও ফি নেওয়া যাবে না। যদিও এই নিয়মটি এতদিন অলিখিত ভাবে ছিল। কিন্তু শহরের বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল অল্প সময়ের ব্যবধানে চিকিৎসককে দেখাতে গেলে ফি নিচ্ছিল। এবার নির্দেশিকা জারি করে রেগুলেটরি কমিশন জানিয়ে দিল, বহাল থাকবে পুরনো রীতিই। বৃহস্পতিবার কমিশনের চেয়ারপার্সন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কমিশন তাদের ৩৩ নম্বর অ্যাডভাইজারির মাধ্যমে জানিয়েছে, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, বা নার্সিহোম আউটডোরে ডাক্তার দেখানোর পর ১৫ দিন পর্যন্ত আর কোনও ফি দিতে লাগবে না।
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে এক রোগী শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে গিয়ে কমিশন জানাতে পারে, শুধু ওই একটি হাসপাতাল নয়, রাজ্যের একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১৫ দিনের মধ্যে ডাক্তার দেখানোর জন্য ফি নিচ্ছে। এর পরই এই নির্দেশিকা জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ডাক্তার দেখানোর পর তাঁর পরামর্শ মেনে বিভিন্ন পরীক্ষা করানোর জন্য বুকিং করতে হয়। তার পর হয় পরীক্ষা এবং তারও বেশ কিছু দিন পর হাতে মেলে রিপোর্ট। সব মিলিয়ে বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়। তাই সব দিক বিবেচনা করে আমরা ১৫ দিনের উর্ধ্বসীমা ধার্য করেছি। যার আগে রোগী কাছ থেকে কোনও ফি নেওয়া যাবে না।” এহেন সিদ্ধান্তে বহু মানুষ উপকৃত হবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।