হঠাৎঽই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল উড়িষ্যায়। পায়রার পায়ে বাঁধা রয়েছে একটি সন্দেহজনক ডিভাইস! পায়রার ডানায় লেখা রয়েছে কিছু শব্দ, যে ভাষা এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। ঘটনাটি জগতসিংহপুরের। উল্লেখ্য, বুধবার সেখানে এমন এক পায়রা উদ্ধার হয়, যার পায়ে বাঁধা ছিল ওই ডিভাইস। যে সন্দেহজনক ডিভাইসকে ক্যামেরা বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, ওই পাখিকে গুপ্তচর হিসাবে ব্য়বহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওড়িশার পারাদ্বীপ উপকূলে এই পাখিকে দেখা যায় একটি মাছ ধরার ট্রলারে। কয়েকদিন আগে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে এই ট্রলারে পায়রাটিকে পান কয়েকজন মৎসজীবী। পায়রাকে এমনভাবে পেয়েই জল-পুলিশের কাছে তাকে তুলে দেন তাঁরা।
এরপর সাইবার পুলিশের হাতে সেই পায়রাকে তুলে দেওয়া হয়েছে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা ওই ক্যামেরা ও ডিভাইসকে খতিয়ে দেখে আসল সত্য উদ্ধারে ব্যস্ত রয়েছেন। জগতসিংহপুরের পুলিশ বলছে, রাজ্যের ফরেন্সিক দফতরের সাহায্যও তারা নেবে, এই পায়রার সঙ্গে আটকে থাকা ডিভাইসের সত্যিটা উদ্ধর করতে। এছাড়াও, পায়রার ডানায় লেখা শব্দগুলির আসল অর্থ কী, তার খোঁজ পেতে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে সে রাজ্যে ডিআরডিওর এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধেও দেশের প্রতিরক্ষায় তারি মিসাইল সম্পর্কে গোপন নথি পাচারের অভিযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, কোনার্ক থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে থাকাকালীন ট্রলারে এসে প়ে ওই পায়রাটি। যে ভাষায় পায়রার ডানায় লেখা ছিল, সেই ভাষাটি ওড়িয়া ভাষা নয় বলেই জানিয়েছে সূত্র।
