জাপানের রেনকোজি মন্দিরে যে চিতাভস্ম রয়েছে তা নেতাজির নয়। তাই ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন নেই। এবার রাজ্যপাল বাংলার সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখে নতুন করে নেতাজি মৃত্যুরহস্য উসকে দিলেন সুভাষচন্দ্র বসুর দাদা প্রখ্যাত চিকিৎসক প্রয়াত সুনীলচন্দ্র বসুর নাতি ইন্দ্রনীল বসু। চিঠিতে তিনি বলেছেন, কিছু ভণ্ড গবেষক এবং নিজেকে নেতাজির অনুরাগী বলে পরিচয় দেওয়া কয়েকজন ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। তাঁরা চায় ১৮ অগস্ট নেতাজির মৃত্যুদিবস হিসাবে ঘোষণা করতে।
ইন্দ্রনীলের দাবি, তাইহোকু বিমানবন্দরে প্লেন দুর্ঘটনায় জাপানি সৈনিক ইচিরো ওকুরার মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ সেটাকে নেতাজির মৃত্যু হিসাবে চালাতে চাইছে। চিঠিতে বসু পরিবারের এই বংশধর লিখেছেন, তাঁর দাদু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বড়ভাই, শাহনাওয়াজ কমিটির অস্থায়ী সদস্য প্রমাণসহ দেখিয়েছিলেন তাঁর ভাই ওই প্লেন দুর্ঘটনায় মারা যাননি। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার আজাদ হিন্দ গভর্নমেন্টের টাকা লুঠ করার জন্য একটা মিথ্যে মৃত্যুর ঘটনা সাজিয়েছিল। সে সময় তাতে ধোঁয়া দিয়েছিল নেহরু গভর্নমেন্ট। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সহোদররা যতদিন বেঁচেছিলেন ততদিন সেই বড়ভাইয়ের পেশ করা সে রিপোর্টকে অস্বীকারও করেননি কেউ।
চিঠিতে তিনি আরও জানান, নেতাজি রিসার্চ ব্যুরো নামক এক সংস্থার জনপ্রিয়তা বাড়তেই বিতর্কের শুরু। তারাই বলতে শুরু করে প্লেন দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছে। টোকিওর রেনকোজি মন্দির থেকে নেতাজির চিতাভস্ম ফিরিয়ে আনতে উঠেপড়ে লাগে। ইন্দ্রনীলের যুক্তি, ১৯৮৫ সালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সম্মুখীন হয় রেনকোজি মন্দির। যদিও ধরেও নেওয়া যায় মন্দিরে নেতাজির চিতাভস্ম ছিল, কোন জাদুতে নেতাজির ভস্ম রাখা কাঠের বাক্স অক্ষত থেকে গেল? শুধু তাই নয়, নিজের লেখা চিঠিতে ইন্দ্রনীল প্রশ্ন তুলেছেন, তাইওয়ান সরকারও বিতর্কিত ওই প্লেন দুর্ঘটনা নিয়ে কোনও রেকর্ড দেখাতে পারেনি। সেখানে বসু পরিবারের চন্দ্রকুমার বসু কীভাবে রেনকোজি মন্দিরের নেতাজির চিতাভস্ম আনতে তোড়জোড় শুরু করেছেন!