ফের বড়সড় বিতর্কের কেন্দ্রে জগদীপ ধনকর। এবার বিধি ভেঙে নিজের দফতরের আধিকারিকদের রাজ্যসভার হাউস কমিটিতে মনোনীত করার অভিযোগ উঠল জগদীপ ধনকরের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, উপরাষ্ট্রপতি ধনকর পদাধিকারবলে সংসদের উচ্চকক্ষের অধ্যক্ষ। অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্তত ৮ জন ব্যক্তিগত কর্মীকে তিনি হাউস কমিটির সদস্যপদ দিয়েছেন। লোকসভা ও রাজ্যসভার নিজস্ব হাউস কমিটি রয়েছে। রয়েছে যৌথ কমিটিও। ক্যান্টিনের খাবারে ভর্তুকির অঙ্ক থেকে অধিবেশন কক্ষের পর্দার রং পর্যন্ত অনেক বিষয়েই তারা আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারী। প্রতিরক্ষা থেকে অর্থমন্ত্রক পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের কাজের পর্যালোচনার জন্যও রয়েছে সংশ্লিষ্ট কমিটি।
প্রসঙ্গত, সাংসদদের নিয়ে গঠিত এই কমিটিগুলিতে সহায়তাকারী সদস্য হিসাবে রাখা হয় জুনিয়র অফিসারদের। কমিটির কার্যবিবরণী নথিভুক্ত করা এবং সমন্বয় রক্ষাই তাঁদের মূল দায়িত্ব। কমিটির আলোচ্য বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষাও তাঁদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। সংসদের সচিবালয়ের মাধ্যমে তাঁরা নিযুক্ত হলেও লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার অধ্যক্ষেরও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা থাকে। সূত্রের খবর, ২০টি হাউস কমিটির মধ্যে ৮টিতে নিজের ব্যক্তিগত সহায়কদের নিয়োগের ব্যবস্থা করছেন ধনকর। এনডিটিভিতে প্রকাশিত একটি খবরে দাবি, বিরোধী কংগ্রেস দলের তরফে এই অভিযোগ তুলে বলা হয়েছে, বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপালের আচরণ এ ক্ষেত্রে বেআইনি না হলেও সংসদীয় রীতিনীতি এবং ঐতিহ্যের পরিপন্থী। স্বভাবতই উঠেছে বিতর্কের ঝড়।