মোদী-জমানায় ক্রমশ বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। আকাশছোঁয়া দাম ও সূচকের হার বৃদ্ধিতে পর্যুদস্ত আমজনতা। রয়েছে জিএসটি সংগ্রহে ক্রমশ হ্রাস। রেকর্ড হারে বেকারত্ব বেড়েছে। এবার জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়েও ঘনাচ্ছে আশঙ্কা। প্রায় প্রতিটি সূচকের ক্ষেত্রেই দেশি-বিদেশি আর্থিক সংস্থা ইতিমধ্যেই পূর্বাভাস দিয়ে ফেলেছে। এবং তা মিলেও গিয়েছে অক্ষরে অক্ষরে। এবার ভারতীয় অর্থনীতির জন্য আরও আশঙ্কার কথা শোনালেন ইন্ডিয়ান রেটিংসের বিশেষজ্ঞ পরশ যশরাই। তাঁর মতে, চলতি অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে মুখ থুবড়ে পড়েছে ভারত। রবি শস্যের ফলন ভালো হলে দেশের আর্থিক হাল ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। শীত কেটে বসন্ত এসেছে। আর্থিক সুরাহা এখনও অধরা।
পাশাপাশি, পরেশের কথায়, চতুর্থ ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ৪-এর আশপাশে থাকবে। ফলে এই বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশে পৌঁছবে না। জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা এনএসও তাদের দ্বিতীয় পূর্বাভাসেও বছরভর জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ থাকবে বলে জানিয়েছিল। তবে এই পূর্বাভাসের সঙ্গে একমত হতে পারেননি পরশ। তাঁর স্পষ্ট কথা, “ফেব্রুয়ারিতে যেভাবে উত্তাপ বেড়েছে, তাতে গম উৎপাদন ধাক্কা খাবে। মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত দেশে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। রয়েছে মুদ্রাস্ফীতির ভ্রুকুটিও।” এর ফলে গ্রামীণ ভারতে চাহিদা হ্রাস পাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যশরাই। তাতে কমবে জিডিপি বৃদ্ধির হার। উল্লেখ্য, অক্টোবর-ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তৃতীয় ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৪ শতাংশ। চলতি অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার আরও কমবে বলেই প্রমাদ গুনছেন বিশেষজ্ঞরা।
