সরকারি প্রকল্পের দুর্নীতি আটকাতে গিয়েছিলেন। বদলে বন্দি হতে হল এক আইএএস অফিসারকে। গুজরাতের সাবরকান্ত জেলার ধরোই বাঁধের কাছে একটি গ্রামে মাছ ধরার সঙ্গে যুক্ত একদল ব্যক্তি আইএএস অফিসার নীতিন সাংওয়ানকে বন্দি করে মারধর করে বলে অভিযোগ। বেআইনিভাবে মাছ ধরা ও ফিশারি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে গিয়েছিলেন অফিসার সাংওয়ান।
এই আইএএস অফিসার গুজরাতের মৎস দফতরের ডিরেক্টর পদে কর্মরত রয়েছে। গত সোমবার গ্রামে পরিদর্শনকালে তার অধস্তন কর্মচারীদের সঙ্গেই ছিলেন তিনি। হঠাৎই তার উপর হামলা করেন স্থানীয় কিছু মৎস্যজীবী এবং হামলায় আহত হন। সাবরকান্তাপ জেলা পুলিস সুপার (ডিএসপি) বিশাল ভাঘেলা জানিয়েছেন, আপাতত বিপদমুক্ত ওই অফিসার। তিনি জানান, ভারতীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বাকিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অফিসার এবং তাঁর দল সবরমতী নদীর ধারোই বাঁধের কাছে আম্বাভাদা গ্রামে গিয়েছিলেন একটি মত্স্য প্রকল্পের পরিদর্শনের জন্য। যেখানে রাজ্য সরকারের তরফে একটি মৎস প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। বাঁধের জলে খাঁচা বসিয়ে মাছ ধরা বা ‘কেজ কালচার ফিশিং’-র জন্য স্থানীয় মৎসজীবী ও কনট্রাক্টরদের ভর্তুকি দেওয়া হয় ।এফআইআর অনুযায়ী, পরিদর্শনের সময় ২০১৬ ব্যাচের আইএএস অফিসারের সঙ্গে ছিলেন পালনপুরের মত্স্য দফতরের পদস্থ আধিকারিক ডি এন প্যাটেল এবং কয়েকজন জুনিয়র কর্মী।
পটেল থানায় অভিযোগ করেন, বাবু পারমার মাছ ধরার অন্যতম ঠিকাদার এবং এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত। নীতিন সাংওয়ানের সঙ্গে তর্ক শুরু হয় তার। ওই অফিসার তার অন্যায় কাজ ধরে ফেলেছেন এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারেন বুঝতে পেরেই বচসা শুরু করে সে। খেডব্রহ্মা তালুকের অন্তর্গত কাঁথাপুরা গ্রামের বাসিন্দা পারমার হঠাৎ রেগে গিয়ে হাঁটুর কাছে কামড় দেয় অফিসারকে। আরও ১০-১২ জনকে ডাকেন, তাঁরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে আসেন এবং সরকারি আধিকারিকদের আটকে রাখে। যতক্ষণ অবধি তারা কাগজে লিখিত প্রতিশ্রুতি না দেন যে ছাড়া পাওয়ার পর পুলিসে অভিযোগ দায়ের করবেন না, ততক্ষণ তাদের বন্দি বানিয়ে রাখা হয়।