বরাবরই কারও সঙ্গে খুব একটা মিশতেন না অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। বাবা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আরও যেন ‘ঘরকুনো’ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। আর এবার অনুব্রতর দিল্লীযাত্রার পর একাকীত্বে ভুগছেন কেষ্টকন্যা। কার্যত নিজেকে ঘরবন্দি করে রেখেছেন তিনি। খুব একটা ঘরের বাইরে বের হন না তিনি। আত্মীয়স্বজন নয়, বেশিরভাগ সময় তাঁর সঙ্গে থাকেন এক বান্ধবী। কেউ দেখা করতে চাইলে দরজায় থাকা নিরাপত্তারক্ষীকে জানাতে হয়, সুকন্যা অনুমতি দিলে তবে অন্দরে ঢুকতে পারেন।
পারিবারিক সূত্রের খবর, ভোলেব্যোম রাইস মিল নিয়েও চিন্তায় অনুব্রতকন্যা। ইডি ‘অতিসক্রিয়তায়’ চালকলের ব্যবসার ভবিষ্যত নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ব্যবসার হিসেবপত্র দেখতেন সুকন্যা। সেই ব্য়বসা বন্ধ হলে ভবিষ্যত কী হবে, কোথা থেকে টাকার সংকুলান হবে, তা নিয়ে চিন্তায় কেষ্টকন্যা। তবে একা মেয়ে নয়, বাবাও যথেষ্ট চিন্তায় মেয়েকে নিয়ে। তাই রাজ্য ছাড়ার আগে মেয়েকে দেখভালের দায়িত্ব সঁপে গিয়েছেন ঘনিষ্ঠদের হাতে। কলকাতায় যাওয়ার আগে শক্তিগড়ে বসে প্রাতঃরাশ সেরেছিলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। সেসময় তাঁর টেবিলে দুই ‘রহস্যময়’ যুবককে বসে থাকতে দেখা যায়। সূত্রের খবর, সেখানেই ঘনিষ্ঠদের মেয়ের দেখভালের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অনুব্রত।
জেলা তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, স্ত্রী বিয়োগের পর থেকে মেয়েই অনুব্রতের ভরসাস্থল। তাই জেলে যাওয়ার পর থেকে মেয়ের ব্যাপারে উদ্বেগে ছিলেন তিনি। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই উদ্বেগ নিয়েই মঙ্গলবার তুফান মির্ধা এবং কৃপাময় ঘোষের সঙ্গে কথা বলেন। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, তিনি তাঁর না-ফেরা পর্যন্ত তুফানকে মেয়ে সুকন্যার দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিয়েছেন অনুব্রত। উল্লেখ্য, তুফান মির্ধা অনুব্রত কন্যা সুকন্যার গাড়ি চালক। অন্যদিকে, কৃপাময়কে বোলপুর শহরের নিচুপট্টি এলাকায় নিজের বাড়ি ও দলীয় কার্যালয়ের দেখভালের কথা বলেছেন।