পিঠের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হল ভারতীয় পেসার যশপ্রীত বুমরার। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের এক হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এ বার বুমরাকে যত দ্রুত সম্ভব মাঠে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অন্তত ছ’মাস বুমরা খেলতে পারবেন না। অর্থাৎ, আইপিএল তো বটেই, চলতি বছর এশিয়া কাপেও তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই। চিকিৎসকেরা চেষ্টা করছেন, যাতে দেশের মাটিতে এক দিনের বিশ্বকাপের আগে তাঁকে সুস্থ করে তোলা যায়। তবে হাসপাতাল বুমরার অস্ত্রোপচার নিয়ে মুখ খোলেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বুমরার বিষয়ে যা বলার, সব ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বলবে। কোনও বিবৃতি দেবে না হাসপাতাল। বুমরার অস্ত্রোপচার করেছেন অকল্যান্ডবাসী অস্থি শল্য চিকিৎসক রোয়ান সাউটন। জোফ্রা আর্চার, শেন বন্ডের মতো ক্রিকেটারদের অস্ত্রোপচার করে মাঠে ফিরিয়েছেন তিনি। তাই তাঁর উপরেই আস্থা রেখেছে বিসিসিআই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বোর্ড কর্তাদের লক্ষ্য এক দিনের বিশ্বকাপের আগে বুমরাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা। অক্টোবরের বিশ্বকাপের আগে কি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন জোরে বোলার? উঠছে প্রশ্ন। কারণ, সময় খুবই অল্প। অস্ত্রোপচারের পর মাঠে ফিরতেই বুমরার পাঁচ থেকে ছ’মাস সময় লাগবে। তার পর আরও কিছুটা সময় লাগবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মতো ফিটনেস ফিরে পেতে। সময় কম হলেও চেষ্টায় খামতি রাখছে না বোর্ড। গত বছর জুলাই মাসে পিঠের ব্যথায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচ খেলতে পারেননি বুমরা। সেই শুরু। তারপর থেকেই মাঠের বাইরে তিনি। গত বছর এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাওয়া যায়নি ভারতীয় বোলারকে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলে নেওয়া হয়েছিল বুমরাকে। কিন্তু একটি ম্যাচ খেলে আবার চোট পান তিনি। তার পর থেকে বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে সুস্থ হচ্ছিলেন বুমরা। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও বুমরাকে চোটমুক্ত করা যায়নি। এই অবস্থায় খেললে তাঁর ক্রিকেটজীবনে বড় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল কমিটির বিশেষজ্ঞরা। তাই বুমরাকে আইপিএল খেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি এবং বোর্ডের চিকিৎসকরা বুমরার অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়। কয়েক জন চিকিৎসকের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়ার পর চূড়ান্ত করা হয় রোয়ান সাউটনকে।