মার্চেই বসতে চলেছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টির বৈঠক। ২০২২-২৩-এর প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা করা টাকার সুদের হার নির্ধারণ করা হতে পারে এই বৈঠকে। তবে একাধিক জল্পনায় জানা যাচ্ছে, বর্তমানে পিএফ অ্যাকাউন্টধারীদের খারাপ খবর মিলতে পারে। কারণ পিএফের সুদের হার কমার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে চলতি আর্থিক বছরের জন্য সরকার পিএফ-এর উপর সুদের হার দিচ্ছে ৮.১ শতাংশ। যা কিনা গত ৪৩ বছরের জন্য সর্বনিম্ন। ১৯৭৭-৭৮ সালে শেষ বার ইপিএফও-তে সুদের হার ছিল ৮ শতাংশ। কিন্তু তারপর থেকে সুদের হার ধারাবাহিকভাবে ৮.২৫ শতাংশ বা তার থেকেও বেশিই ছিল। জানা গিয়েছে, ইপিএফও-র সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা অতিমাত্রায় ক্ষীণ। সেক্ষেত্রে ইপিএফও সুদের হার বর্তমান ৮.১ শতাংশ হার ধরে রাখতে পারে। অথবা তা কমিয়ে ৮ শতাংশ করা হতে পারে। বর্তমানে সাড়ে ৬ কোটি মানুষ ইপিএফও-র সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। একটি সূত্রের তথ্য মোতাবেক, ২৫-২৬শে মার্চ এই সুদের হার নির্ধারণ করা হতে পারে। ইক্যুইটি বিনিয়োগে উচ্চতর রিটার্নের সম্ভাবনা বিবেচনা করে সুদের হার পরিবর্তন করা যেতে পারে। ইপিএফও অনেক জায়গায় পিএফ অ্যাকাউন্টধারকের অ্যাকাউন্টে জমা করা পরিমাণ বিনিয়োগ করে। এই বিনিয়োগ থেকে আয়ের একটি অংশ সুদের আকারে অ্যাকাউন্টধারীদের দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী পিএফ-এর সুদ ৮ শতাংশে নামিয়ে আনলে বা কমপক্ষে ৮ শতাংশও রাখা হলে ক্ষতি হবে বিপুল সংখ্যক গ্রাহকদের। এরফলে সরাসরি বেসরকারি খাতে কর্মরত ৬ কোটিরও বেশি মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ১৯৫২ সালে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন শুরু করা হয়েছিল। প্রথম দিকে পিএফ অ্যাকাউন্টে সুদের হার ছিল ৩ শতাংশ। তারপরে এটি ক্রমাগত বাড়তে থাকে। এমনকি একসময় এটি ১২ শতাংশেরও বেশি উপরে পৌঁছে গিয়েছিল। ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরের ক্ষেত্রে পিএফে সুদের হার ছিল ৮.৮০ শতাংশ। ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরের ক্ষেত্রে প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। ২০১৭-১৮ সালে এই পরিমাণ ছিল ৮.৫৫ শতাংশ। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে এই সুদের পরিমাণ ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে সুদের পরিমাণ ছিল ৮.৫০ শতাংশ। ২০২০-২১ বছরে সুদের পরিমাণ ছিল ৮.৫০ শতাংশ. সুদের পরিমাণ ৮.১০ শতাংশ ছিল ২০২১-২২ আর্থিক বছরে।