গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কে ভূমিকম্পের পরই ৭ ফেব্রুয়ারি বিপুল ত্রাণ নিয়ে সেখানে হাজির হয়েছিল ভারত। ভূমিকম্পের বিপদের সময় তুরস্কের পাশে দাঁড়াতে শুরু হয়েছিল ‘অপারেশন দোস্ত’। যার আওতায় মোট ৩টি এনডিআরএফের দল গিয়েছিল। পাঠানো হয়েছিল বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের দলকেও। প্রায় দু’সপ্তাহ উদ্ধারকাজ চালানোর পর দেশে ফিরে এসেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সেই উপকারের মাসখানেকের মধ্যেই তুরস্ক যেন সব কিছু ভুলে গেল। অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন বা ওআইসি-তে জম্মু-কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কথা তুলল তারা।
ইসলাম ধর্মাবলম্বী দেশগুলির যৌথ মঞ্চ ওআইসি। এই মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনা বরাবর নাপসন্দ ভারতের। তাই তুরস্কের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভারত। প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধি সীমা পূজানি বিষয়টির প্রসঙ্গ তুলে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই সংক্রান্ত বিষয়ও ভারতের অভ্যন্তরীণ। পাকিস্তান ভারতের জমি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে। ওআইসি তাদের সদস্য পাকিস্তানকে বলুক রাষ্ট্র-সমর্থিত সন্ত্রাস বন্ধ করে ভারতকে দখল করা কাশ্মীরের অংশ ফিরিয়ে দিতে-পরামর্শ দিয়েছিল ভারত।