জমির বদলে চাকরি দেওয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় রাবড়ি দেবীর বাড়িতে পৌঁছল সিবিআই। সোমবার সকালেই বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পাটনার বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত, রবিবারেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে আরও আট বিরোধী দলের সঙ্গে মিলিতভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। পরের দিনই তাঁর মায়ের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই।
২০০৪ সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন জলের দরে জমি কিনে তার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবীর বিরুদ্ধে। ২০২২ সালে এই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে গ্রেপ্তার হন লালুর ঘনিষ্ট আধিকারিক ভোলা যাদব। গত সপ্তাহেই এই মামলার শুনানিতে দিল্লি আদালতে উপস্থিত হন অভিযুক্তদের কয়েকজন। যদিও সিবিআইয়ের দাবি, সোমবার শুধুমাত্র রাবড়ি দেবীকে জেরা করতেই তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হয়েছেন সংস্থার কর্তারা। আগে থেকেই এই বিষয়টি জানিয়ে রাখা হয়েছিল এবং রাবড়ি দেবীর সম্মতিতেই সোমবারের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকালই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তেজস্বী যাদব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ নয় বিরোধী দলের নেতারা। পরের দিনই সিবিআই হানাকে রাজনৈতিক প্রতিশোধ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, ‘আগের দিনই চিঠি লিখেছেন তেজস্বী। পরের দিনই তাঁর মায়ের বাড়িতে সিবিআই পৌঁছে গেল। আসলে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলেছে বিজেপি সরকার। দুর্নীতি করে যারা বিজেপিতে চলে যায়, তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না কেন? শুভেন্দু অধিকারী গ্রেফতার হয় না কেন’?