সরকার যদি আমার বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তাতে কোনও সমস্যা নেই। কারণ গ্রেফতারি এড়াতে আমি দেশ ছেড়ে পালাব না। এবার এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রবিবার দুপুরে ইমরানকে গ্রেফতার করতে তাঁর বাড়িতে হাজির হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কিন্তু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর খোঁজ পায়নি তারা। এই ঘটনার পরেই নিজের বাড়ি থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দেন ইমরান। তিনি বলেন, কোনওদিন কারও সামনে মাথা নত করেননি। ভবিষ্যতে দেশ ছেড়ে পালানোরও ইচ্ছা নেই তাঁর। যদিও এই ভাষণের পরেই দেশের সমস্ত টিভি চ্যানেলে ইমরানের বক্তৃতার ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপায় পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল নিয়ন্ত্রক সংস্থা পেমরা।
প্রসঙ্গত, তোষাখানা মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে গ্রফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় রবিবার ইমরানকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে পুলিশ। দলীয় সদস্য সমর্থকরা বাড়ি ঘিরে রাখলেও শেষ পর্যন্ত লাহোরে ইমরানের বাসভবনে ঢুকে পড়ে তারা। কিন্তু স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ইমরানকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি বলে দাবি করে পাক পুলিশ। এরপরই জল্পনা শুরু হয়, তবে কি গোপন উপায়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী? কিন্তু বিকেল পাঁচটা নাগাদ সমর্থকদের উদ্দেশে নিজের বাড়ি থেকেই ভাষণ দেন ইমরান। বক্তৃতায় ইমরান সাফ জানিয়ে দেন, ‘সরকার যদি আমার বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তাতে কোনও সমস্যা নেই। কারণ আমি দেশ ছাড়ব না।’
এখানেই না থেমে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পাক সরকারের একাধিক নেতা বিদেশে তাঁদের সম্পত্তি জমিয়ে রেখেছেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কারণ প্রাক্তন সেনাপ্রধান তাঁদের সমস্ত শাস্তির হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। ইমরানের মুখে আবারও ফিরে আসে লং মার্চ চলাকালীন হামলার বিষয়। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, শাহবাজ শরিফ-সহ একাধিক নেতা তাঁকে খুন করতে চেয়েছিল। এখনও সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা, সেই জন্য নিজের সুরক্ষা আরও বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেন ইমরান। এই বক্তৃতার পরেই পাকিস্তানের সমস্ত টিভি চ্যানেলে ইমরানের ভাষণের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়।