কলকাতা মেডিক্যালের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের পিছন দিকেই ছিল একটি বহুতল। যেটির বয়স খুব কম করে বছর পঞ্চাশ। কিন্তু দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থেকে ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়েছিল একদা নার্সিং সুপারের ওই কার্যালয়। সম্প্রতি সেই বাড়িটি ভাঙা শুরু হয়েছে। আর সেই সময়ই একটি পুরনো দেওয়াল ভাঙতে বেরিয়ে এল গুপ্তধন! সংখ্যায় মাত্র দু’টি হলেও সোনার মতো চকচকে দুটি মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে। দিন পনেরো আগে পাওয়া সেই মুদ্রার একটি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে। আর একটি নিয়ে অবশ্য পগারপার দেওয়াল ভাঙায় যুক্ত এক শ্রমিক। তাঁকে খুঁজতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়ের কথায়, ‘ওটা কোন ধাতুতে তৈরি, তা জানি না। বিষয়টি সরকারকে জানানো হবে। তারা বুঝবে, ওই মুদ্রা নিয়ে কী করা হবে।’ যদিও মেডিক্যালের একাংশের দাবি, দু’টি মুদ্রাই সংরক্ষণ করা হোক হাসপাতালে। যে মুদ্রা মিলেছে, সেটির এক দিকে রাম, লক্ষ্মণ, সীতা ও হনুমান এবং অন্য দিকে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও কিছু শব্দ-সাল খোদাই রয়েছে। যা দেখেশুনে ওই মুদ্রার ঐতিহাসিক মূল্য নিয়েও কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের একাংশের মধ্যে চর্চা শুরু হয়েছে।