ফের বিতর্কের কেন্দ্রে বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশ। বিগত ২০২০ সালের হাথরসের নৃশংস ঘটনা এখনও তাজা দেশবাসীর স্মৃতিতে। জনৈকা দলিত তরুণীকে গণ-ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছিল। এবার সেই মামলায় চার অভিযুক্তের মধ্যে তিনজনকে বেকসুর খালাস দিল যোগীরাজ্যের আদালত। এই ঘটনায় একজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের আদালত অভিযুক্ত রবি, রামু এবং লভ কুশকে খালাস দিয়েছে। সন্দীপ নামে এক অভিযুক্তকে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪ ধারা এবং এসসি/এসটি আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সন্দীপ ঠাকুরকে ধর্ষণ বা খুনের অভিযোগে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেনি বলে জানিয়েছে সূত্র।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০ বছর বয়সী এক দলিত তরুণী দিল্লি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে হাথরসে নিজের গ্রামে গণধর্ষণের শিকার হন। চারজন উচ্চ বর্ণের লোক গণধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় সারা দেশে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। প্রতিবাদে সরব হয় বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষ। ১৫ দিনের লড়াই শেষে ২৯শে সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিল্লীর হাসপাতালে মৃত্যু হয় ধর্ষিতা তরুণীর। এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকে ক্রমশ। তরুণীর মৃত্যুর পর অভিযোগ ওঠে, পুলিশ মধ্যরাতে পরিবারের অনুমতি না নিয়েই তরুণীর শেষকৃত্য করে দিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ সে সময় অস্বীকার করে পুলিশ। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে এই ঘটনায় সিট গঠন করে যোগী সরকার। কিন্তু, তারপরেও দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে মামলা চলার পর উত্তরপ্রদেশ আদালত ৩ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিল। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তুঙ্গে বিতর্ক। যোগী সরকারের নিন্দায় সরব হয়েছে একাধিক মহল।