দুয়ারে সরকার থেকে পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি – সবই সফল হয়েছে। তাতে জনগণ সামাজিক প্রকল্প পেয়ে উপকৃত হলেও বহু নাগরিক এখনও সব প্রকল্প পাননি বলেই সূত্রের খবর। আবার দিদির দূতরা গ্রামবাংলার জনগণের কাছে গেলেও শহরের মানুষজন এখনও দূতের দেখা পাননি। আবার বহু মানুষজন তাঁদের সমস্যা নিয়ে সরকারি অফিসারদের কাছে গেলেও সেগুলির সমাধান হচ্ছে না। এমন খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত বিরক্ত। তাই এই ব্যবস্থা ভাঙতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অফিসারদের চেয়ার থেকে নড়াতে চাইছেন বলে সূত্রের খবর।
সম্প্রতি নবান্নে গ্রিভ্যান্স বৈঠকে তাঁর হাতে আসে একাধিক নথি। বহু নাগরিক নানা সমস্যা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবার পাড়ায় পাড়ায়, বাড়ি বাড়ি যেতে হবে অফিসারদের। বিশেষ করে যে সব অফিসার নাগরিক পরিষেবা এবং সরকারি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের ভাল–মন্দের খোঁজ নিতে হবে। এমনকী খুব তাড়াতাড়ি এই মর্মে নির্দেশ দিতে চলেছে রাজ্য সচিবালয় বলে সূত্রের খবর।
নবান্ন সূত্রে খবর, অতিরিক্ত জেলাশাসকের নেতৃত্বে জেলাস্তরে এই অভিযান চলবে। আবার শহরেও এই কর্মসূচি নেওয়া হবে। মানুষের সমস্যার কথা শুনে রাজ্য সরকারের সমন্বয় পোর্টালে ৩১ মার্চের মধ্যে আপলোড করতে হবে সরকারি অফিসারদের। তারপরই সেই সব সমস্যার সমাধান করতে হবে। ইতিমধ্যেই যেসব অভিযোগ এসেছে সেগুলি দফতর অনুযায়ী ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এই কর্মসূচি বড় সাফল্য নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রের খবর, একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনা বা গ্রাম সড়ক খাতে কেন্দ্র সরকার বরাদ্দ বন্ধ করে রেখেছে। কিছু ছাড়লেও বাকি দিচ্ছে না। সুতরাং ওই টাকা ‘গেরুয়া ফাঁসে’ আটকে গিয়েছে। কিন্তু গ্রামবাংলায় অনেক মানুষই বোঝেন না, কোন টাকা কে দেয়। এমনকী কেন্দ্র–রাজ্যের ভাগ কত? তাই তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা হবে, একশো দিনের কাজ বন্ধ হওয়ার দায় রাজ্যের নয়। তবে হ্যাঁ রাজ্য এক ডজনের বেশি সামাজিক প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে। সেই খাতে কেউ সুবিধা না পেলে বা সুবিধা পেতে দেরি হলে দুয়ারে গিযে অফিসাররা সেই জট ছাড়াবেন।