হার মানবে বলিউড ছবির প্লটও! হঠাৎই নাগপুর পুলিশের কাছে এল একখানি উড়ো ফোন। ফোনের ওপার থেকে জনৈক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি হুমকির সুরে বললেন, যে কোনও মুহূর্তে মুম্বইয়ে অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র এবং মুকেশ আম্বানির বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। ইতিমধ্যেই এই তিন সেলেবের বাসভবনের সামনে বিস্ফোরক রাখা হয়েছে। আর এই গোটা অপারেশনটার জন্য ২৫ জন তিনজনেপ বাসভবনের বাইরে পৌঁছে গিয়েছেন। এবং তারা প্রত্যেকেই সশস্ত্র! এর আগে ঠিক একইভাবে দাউদ ইব্রাহিমের নাম করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি উড়ো ভয়েস মেসেজ এসেছিল গত বছর ২৮ নভেম্বর। যেখানে উল্লেখ করা হয়, “দু’জন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যা করবে।” খবর প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের হুমকি দেওয়া নিয়েও সম্প্রতি শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। মধ্যরাতে ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে একটি ফোন আসে। অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তির ফোন আসা মাত্রই তার সন্ধানে তদন্তে নামে দিল্লী পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, ৩৮ বছরের এক ব্যক্তি এই উড়ো ফোনটি করেছিলেন। তার নাম পরিচয় পাওয়ার পর জানা যায়, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। দিল্লীর গুলাবি বাগের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি অসুস্থ এবং দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা চলছে। ফলে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা সত্ত্বেও গ্রেফতার করেনি দিল্লি পুলিশ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করিকেও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। নাগপুরে তাঁর দফতরে ল্যান্ডলাইন নম্বরে দু’টি হুমকি ফোন আসে। তিনি নিজেই দু’বার ওই ফোন তোলেন। ফোনের ওপার থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। এই খুনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল দাউদ ইব্রাহিমের নাম করে।