ফের মূল্যবৃদ্ধির কোপ এসে পড়ল আমজনতার কাঁধে। আজ, বুধবার মূল্যস্ফীতির দ্বিগুণ আক্রমণে জর্জরিত মুম্বইবাসীরা। প্রথমে সরকারি তেল কোম্পানিগুলো রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ায়, এখন দুধের দামও ঊর্ধ্বগামী। মুম্বইতে বুধবার, ১লা মার্চ, ২০২৩ থেকে দুধের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা বেড়েছে। মুম্বাই মিল্ক প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন মহিষের দুধের দাম সরাসরি ৫ টাকা বাড়িয়েছে। এর আগে সরকারি তেল কোম্পানিগুলো দেশীয় রান্নার গ্যাসের দাম ৫০ টাকা বাড়িয়েছিল। এদিন সকালে এমএমপিএ দ্বারা প্রকাশিত হার অনুসারে, এখন মুম্বাইতে এক লিটার মহিষের দুধের দাম পড়বে ৮৫ টাকা, যা আগে ৮০ টাকায় পাওয়া যেত। নতুন হার ৩১ আগস্ট, ২০২৩ পর্যন্ত চলবে এবং এর পরে সমিতি আবার দাম পর্যালোচনা করবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের পরে মুম্বাইয়ে দুধের দামে এটি দ্বিতীয় বড় বৃদ্ধি। মুম্বইয়ে যে গতিতে দুধের দাম বাড়ছে, তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে হয়ে যাচ্ছে। আলম যে গত ৬ মাসেই দুধের দাম লিটারে প্রায় ১০ টাকা বেড়েছে। প্রথম সেপ্টেম্বরেই দাম বেড়েছে ৫ টাকা। তখন মহিষের দুধ ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকায় বেড়েছে। আজকের সর্বশেষ বৃদ্ধির পর দুধের দাম উঠেছে ৮৫ টাকায়। হঠাৎ করে দুধের এই দাম বৃদ্ধির কারণে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রবল সমস্যায় পড়েছে।
উল্লেখ্য, কেবল মহিষ নয়, গরুর দুধের দামও বেড়েছে মুম্বইয়ে। ফেব্রুয়ারিতে মহারাষ্ট্রের সমস্ত প্রধান গরুর দুধ উৎপাদনকারী ইউনিয়নগুলি ব্র্যান্ডেড উৎপাদকদের সাথেও প্রতি লিটারে ২ টাকা দাম বাড়িয়েছিল। দুগ্ধ উৎপাদনকারীরা বলছেন, দুগ্ধজাত পশুর দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের পশুখাদ্য, তুষার, চুনি, ছোলা ইত্যাদির দামও ২৫ শতাংশ বেড়েছে। এ কারণে দুধের দামও বাড়াতে হচ্ছে। মুম্বাইয়ে প্রতিদিন ৫০ লাখ লিটারের বেশি মহিষের দুধ খাওয়া হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে তা থেকে তৈরি পণ্যেও। এর আগে আমুল এবং মাদার ডেইরিও তাদের দুধের দাম লিটারে ২ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছিল। আগামী দিনে দই, ঘি ও পনিরের মতো দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বড়সড় বাড়তে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। ফলত ফের দুর্ভোগের কবলে পড়তে পারে আমজনতা।