এবার রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাশে নিয়ে ফের রাজ্য সরকারের সঙ্গে সৌজন্যমূলক সম্পর্ক রেখে চলার বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সরকারের সম্পর্ক কেমন তা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘গঠনমূলক সহযোগিতার।’ এও বলেছেন, ‘আমি ভাল আছি।’
প্রসঙ্গত, বাংলার রাজ্যপাল পদে শপথ নেওয়ার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতর সঙ্গে আনন্দ বোসের বন্ধুতার সম্পর্কের নির্দশন দিয়েছেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীকে ডিলিট দিয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল বলেছিলেন, মহিলাদের সম্মানিত করলে দেবতারা আনন্দিত হন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে রাজ্যপালের এহেন মন্তব্য যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। এর থেকেই স্পষ্ট, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে চলতে চান তিনি। কিন্তু এমন সহযোগিতামূলক বন্দোবস্ত যে রাজ্য বিজেপির পছন্দ হচ্ছিল না, তাও পরিষ্কার ছিল। ঘরোয়া আলোচনায় বিজেপি নেতারা এও বলছিলেন, রাজ্যপালকে পরিচালিত করছেন তাঁর নবান্ন নিযুক্ত সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী।
এর পরই হঠাৎ দেখা যায়, রাজ্যপাল তাঁর সচিব পদ থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরিয়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সন্দেহ তৈরি হয়, আনন্দ বোস হয়ত ক্রমশ প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের মতই হয়ে উঠবেন। কিন্তু রাজ্যপাল এদিন সুর নরম রেখেই বলেছেন, ‘শাসন ব্যবস্থা একটি চলমান প্রক্রিয়া। তাতে ভুল ত্রুটি হলে তা যেমন ধরতে হবে। তেমনই সে সব শুধরে এগোতেও হবে।’