কঠোর পদক্ষেপের পথে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মাধ্যমিক পরীক্ষার শেষ কয়েক দিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া করতে চাইছে তারা। আজ, সোমবার আট দফা নির্দেশ দিলেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপস্থিতিতেই পরীক্ষার্থীরা ভিতরে প্রবেশ করতেন। নতুন বিধি অনুযায়ী পরীক্ষাকেন্দ্রের দরজায় এ বার উপস্থিত থাকবেন পুলিশকর্মীরাও। প্রয়োজনে তাঁরা পরীক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল ফোন অথবা বৈদ্যুতিন সামগ্রী রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখবেন। পরীক্ষাকেন্দ্রে যাঁরা নজরদারি চালাবেন, তাঁরা যাতে গোটা শ্রেণিকক্ষে জুড়ে নজর রাখতে পারেন, সে জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রের জানালা খুলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্ষদের একাংশ মনে করছেন, অসুস্থ পরীক্ষার্থী, বিশেষত যাঁরা হাসপাতালে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল হয়ে পড়ছে। তাই এই সব জায়গায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে পাহারার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা ফোন নির্দিষ্ট জায়গায় জমা রাখছেন কি না, তা লগ বুকে লিখে রাখার কথা জানানো হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে অচেনা ব্যক্তির প্রবেশাধিকার রুখতেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আপাত ভাবে পর্ষদের নির্দেশিকায় পুরনো কিছু নিয়মের কঠোর প্রয়োগের কথাই বলা হয়েছে। তবে পুলিশকে দিয়ে তল্লাশির নির্দেশ এই প্রথম। পরীক্ষা চলাকালীন মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে শুক্রবার অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত। এরপর পর্ষদের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘‘এটি প্রশ্নফাঁসের ঘটনা নয়, পরিকল্পিত অন্তর্ঘাত।’’ সেই পরিকল্পিত অন্তর্ঘাতের উৎস খুঁজে বার করার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করে বলে পর্ষদ। পর্ষদের দাবি ছিল, শুক্রবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। ১২টায় পরীক্ষা শুরু হয়। যখন ছবি তোলা হয়েছিল, পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা হলেই ছিলেন। ফলত কোনও প্রভাব পড়েনি পরীক্ষার উপর।