লুইজিনহো ফালেরিও পারেননি। মুকুল সাংমা কি পারবেন? গোয়া রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। আপাতত মেঘালয় বিধানসভা ভোটে তাঁকে সামনে রেখেই ভোটে লড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বলা ভাল মুকুল সাংমাকে কার্যত মুখ্যমন্ত্রী মুখ করেই এগোচ্ছে জোড়া ফুল শিবির।
গোয়ায় ব্যর্থ হন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা লুইজিনহো ফালেরিও। মুকুল সাংমার ক্ষেত্রেও কি তেমনটাই হবে ? তবে মেঘালয়ের ভোট প্রচারে এসে কংগ্রেসকে চড়া সুরে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল শিবির। পালটা রাহুল গান্ধী চড়া সুরে আক্রমণ শানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। গোয়া বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে অভিষেক এবং অন্য তৃণমূল নেতারা কংগ্রেসকে ভোট না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। কার্যত একই সুরে অভিষেক মেঘালয়ে ভোট প্রচারে এসে সমবেত জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না। মাথায় রাখবেন, কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া’।
এই প্রসঙ্গে তিনি মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়েও বিধায়কদের ধরে রাখতে না পারা, গোয়ার বিধায়কদের বিজেপিতে চলে যাওয়া ইত্যাদি উদাহরণকে সামনে রেখেছেন। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা মুকুল সাংমার নেতৃত্বেই বিধানসভা নির্বাচন লড়ছে তৃণমূল। গোয়াতেও প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরোকে সামনে রেখে নির্বাচনে লড়েছিল তৃণমূল। অবশ্য ভোটবাক্সে তেমন সুবিধা করতে পারেনি তারা।এর আগেও একাধিকবার মেঘালয় সফরে শুধু বিজেপি নয়, কংগ্রেসকেও নিশানা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।কটাক্ষের সুরে কংগ্রেস শিবিরকে অভিষেক বলেছিলেন, ‘কংগ্রেস ময়দানে না নেমে, দিল্লিতে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আছে। আমরা তা করিনি। বাংলার ভোটে কী হল দেখেছেন? ৫ ফুটের মহিলা ১০ কোটি মানুষের আশীর্বাদ পেলেন। বাংলা দেখিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে।’