সম্প্রতি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে আলোচনা করেছিলেন তাঁর দূত। আর এবার সরাসরি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে নিজেই এ কথা জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা বললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনও আলোচনায় যাবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় রুশ সেনাকে ইউক্রেন থেকে সরানো নিয়ে প্রস্তাব পাশ হয়। ভারতের মতোই ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকেছে চীনও। কিন্তু শুক্রবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির ডাক দেয় বেজিং। আর এতেই খুশি জেলেনস্কি। চীনের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, ‘ওরা যে (শান্তিপ্রক্রিয়ায়) অংশ নিতে চাইছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংকেত। আমি মনেপ্রাণে এটা বিশ্বাস করতে চাই যে চিন কোনও হাতিয়ার রাশিয়াকে দেবে না। দেখা যাক আগামী দিনে কী হয়।’
বিশ্লেষকদের মতে, জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা বলে ঘুরিয়ে ভারতকেও বার্তা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। ভারত শান্তিপ্রক্রিয়ার অংশ হোক এটাই চাইছে কিয়েভ। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব নিয়ে কিয়েভের দূত ইভান কনোভালোভ বলেন, ‘ভারত ভোটদানে বিরত থাকা ইউক্রেনের জন্য খুবই সংবেদনশীল বিষয়। আমরা ভারতের সমর্থন আশা করি। আমাদের ভরসা আছে যে ভবিষ্যতে ভারত আমাদের পাশে থাকবে।’