গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে হাতির হামলায় মৃত্যু হয় অর্জুন দাস নামের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে জঙ্গল এলাকায় পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ৮ দফা গাইডলাইন বেঁধে দেয় নবান্ন। আর সেই নির্দেশিকার পরই জোরকদমে শুরু কাজ। কাজ কোন গতিতে এগোচ্ছে, শুক্রবার তার খতিয়ানও তুলে ধরা হল বনদপ্তরের তরফে।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রায় ১৮১৩ কিলোমিটার রাস্তাকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ১,১৪১ বনকর্মীকে পরীক্ষার সময় দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে হুলা দলের সদস্যরাও রয়েছেন।এছাড়া গোটা রাজ্যে মোট ১৮৪টি ড্রপ গেট লাগানো হয়েছে। হাতির হানা থেকে সতর্ক থাকতে জঙ্গলের ৩৮৬টি জায়গায় অতিরিক্ত নজরদারি চালানো হবে। পরীক্ষার দিনগুলিতে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া ও আনার জন্য ব্যবহার করা হবে ২০১টি গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার মধ্যে ২টি বাস ও ৯টি এয়ারব্যাট গাড়ি রয়েছে। স্থানীয়দের সতর্ক করতে বিভিন্ন গ্রামে চলছে মাইকিং। ইতিমধ্যেই ৭৬৬টি গ্রামে মাইকিং করা হয়েছে।