আদানি কাণ্ড নিয়ে মিডিয়ার মুখ বন্ধ করা যাবে না। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
এ ব্যাপারে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী এমএল শর্মা। তাঁর আবেদন ছিল, আদানি-হিন্ডেনবার্গ বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। ওই মামলায় সর্বোচ্চ আদালত রায়দান আপাতত স্থগিত রেখেছে। যতদিন না সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায় দেয় ততদিন এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি যেন বন্ধ থাকে।
কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এদিন ওই আবেদন শুনে বলেন, ‘আমরা সংবাদমাধ্যমের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করব না। তবে আমরা শিগগির রায় ঘোষণা করে দেব’।
আদানি কাণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মোট চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই চারটি মামলাকে একত্র করে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলেছে। তার পর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ আদালত রায়দান স্থগিত রেখেছে। ওই চারটি মামলার মধ্যে একটি দায়ের করেছিলেন এই এমএল শর্মা। তাঁর দাবি ছিল, হিন্ডেবার্গ রিসার্চ ও তাদের কর্ণধার নাথান অ্যান্ডারসন এবং ভারতে তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সেবি এবং অন্যন্য সংস্থা তদন্ত করুক। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হোক। এরই পাশাপাশি এ ব্যাপারে মিডিয়ার মুখ বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু একই সঙ্গে বাকি যে তিন জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সে ক্ষেত্রে বিশাল তিওয়ারি নামে এক আইনজীবী ও সমাজকর্মী এবং কংগ্রেস নেতা জয়া ঠাকুর আর্জি জানিয়েছিলেন যে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি বিবেচনা করে দেখুক। চতুর্থ মামলায় আর্জি জানানো হয়েছিল যে, আদানির শেয়ারের দামের ক্ষেত্রে কোনও কারচুপি করেছে কিনা তার তদন্ত হোক।