রাজ্যজুড়ে পথশ্রী প্রকল্পের কাজ কতদূর এগোচ্ছে? এবার তার সরেজমিনে রিপোর্ট নিতে চলেছে নবান্ন। নবান্ন সূত্রে খবর শনিবার বিকেল চারটের সময় এই বিষয় নিয়ে জরুরি বৈঠক দেখেছেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে পথশ্রী বা রাস্তাশ্রী প্রকল্পের পাশাপাশি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের খরচের হিসাব নিয়েও রিভিউ বৈঠক করবেন মুখ্য সচিব। সম্প্রতি রাজ্য বাজেটে গ্রামীণ এলাকার বিকাশের জন্য রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কারের ক্ষেত্রে কয়েক হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই গ্রামীন এলাকার রাস্তা গুলি নির্মাণের জন্যও কিভাবে কাজ করতে হবে তার জন্য বিস্তারিত গাইডলাইনও দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সরকারি পরিষেবার প্রদান অনুষ্ঠান থেকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই রাস্তা গুলি নির্মাণের কাজ শেষ করবে রাজ্য প্রশাসন বলেও বারবার দাবি করেছেন। আর সেই প্রকল্পের অগ্রগতি কতদূর তা নিয়ে শনিবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে চলেছেন মুখ্য সচিব।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই গ্রামীণ এলাকার মানুষের মন পেতে দ্রুত গ্রামীণ এলাকার রাস্তা সংস্কারে খরচের ব্যাপারে কড়া নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। এজন্য পঞ্চায়েত দফতর থেকে পৃথক পোর্টাল এবং অ্যাপ তৈরি করতে বলা হয়েছে। যে গ্রামীণ রাস্তার সংস্কার করা হবে সেগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে জিও ট্যাগিং করতে হবে। পোর্টালে দিতে হবে রাস্তার সংস্কার হওয়ার আগে ও পরের চিত্র। ভিডিওগ্রাফিও এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। প্রতিটি চিত্রের ওপর তারিখ ও সময় যেন উল্লেখ থাকে।
পঞ্চায়েত দফতর থেকে জেলাশাসকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জেলাগুলিকে রাস্তা সংস্কারে প্রশাসনিক অনুমতির জন্য পঞ্চায়েত দফতরের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে। আগামী ২৭ মার্চের রাজ্যের সাড়ে আট হাজার রাস্তার টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে কজ শুরুর ওয়ার্ক অর্ডার দিতে হবে। ঠিকাদারী সংস্থা ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার পরই কাজ ফেলে রাখতে পারবে না। জেলাশাসকদের পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতিকে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা যাবে না। মহকুমা শাসক, বিডিও বা জেলাশাসকের অফিস থেকে প্রশাসনিকভাবে টেন্ডার ডাকতে হবে। জেলাপরিষদের বৈঠকে রাস্তা সংস্কারের সিদ্ধান্ত পোর্টালে তুলে দিতে হবে।