সম্প্রতি রাজ্যের মৎস্যজীবীদের জন্য নিবন্ধীকরণ ও মৎস্যজীবী বন্ধু নামে দুটি পৃথক প্রকল্প চালু করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যার ফলস্বরূপ রাজ্যের প্রায় ৩৫ লক্ষ মৎস্যজীবী আরও বেশি করে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুরক্ষার আওতায় আসতে চলেছে। প্রথম প্রকল্পে রাজ্যের সকল মৎস্যজীবীদের কাজের ক্ষেত্র ভিত্তিক তালিকা তৈরি এবং প্রত্যেক মৎস্যজীবীকে সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় প্রকল্পে মৎস্যজীবী পরিবারের ১৮-৬০ বছর বয়সের মধ্যে কারও যে কোন কারণে মৃত্যু হলে সরকার সেই পরিবারকে দু লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করবে। এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের রূপায়ণের জন্য মৎস্য দফতরের আধিকারিক সংগঠন স্টেট ফিসারি অফিসার্স অ্যসোসিয়েশন, ওয়েস্ট বেঙ্গল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বুধবার রাজ্যব্যাপী কর্মসূচি পালিত করল।
এ প্রসঙ্গে আয়োজক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি দেবাশিস খাটুয়া বলেন, ‘এবছর আমাদের সংগঠনের ৫০ বছর পূর্ণ হল। আর এই বছরে রাজ্য সরকার মৎস্যজীবীদের জন্য দুটি ঐতিহাসিক প্রকল্প চআলু করেছে। তাই বুধবার সমগ্র রাজ্য জুড়ে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে নিয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও মাননীয় মৎস্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালাম। নিঃসন্দেহে এই দুটি প্রকল্প রাজ্যের মৎস্যজীবী ও তাদের পরিবারের প্রভুত উপকারে আসবে।’ এই কর্মসূচিতে জেলায় জেলায় মৎস্যজীবীরাও অংসগ্রহণ করেন। হাওড়া জেলার এক মৎস্যজীবী বলেন, ‘আমি এবছর দুয়ারে সরকারে মৎস্যজীবী রেজিস্ট্রেশনের ফর্ম জমা করেছিলাম। ছবি সহ কার্ড পেয়েছি। আমরা জল মাছ নিয়ে থাকি। কোন রকমের দুর্ঘটনা ঘটে গেলে পরিবার আর্থিক সাহায্য পাবে। এটা আমাদের খুব দরকার ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরীকে আমার শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
