লক্ষ্য রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা বৃদ্ধি। আর সেই লক্ষ্যপূরণ বড়সড় পদক্ষেপ নিল বাংলার শ্রম বিভাগ। রাজ্যে ৬টি নতুন ইএসআই হাসপাতাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিল সরকার। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্র করে রাজ্যে ৪৩টি নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, বর্তমানে রাজ্যে ১৪টি ইএসআই হাসপাতাল রয়েছে। আমরা আরও ৬টি হাসপাতাল স্থাপন করতে চলেছি। এর মধ্যে দুইটি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে, হলদিয়া এবং শিলিগুড়িতে। দু’টিই ১০০ শয্যার। বিড়ি শ্রমিকদের জন্য দুইটি হাসপাতাল, পুরুলিয়ার ঝালদা এবং মুর্শিদাবাদের তারাপুরের দুইটি হাসপাতাল ইএসআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে আরও দু’টি হাসপাতাল গড়ে তোলার প্রস্তাব করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শিয়ালদহে ১০০ শয্যা এবং আসানসোলে ৫০ শয্যার -দু’টি ইএসআই হাসপাতালের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
৪২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে ৩৪টি উত্তরবঙ্গে। প্রাথমিকভাবে চা বাগানের বিপুল সংখ্যক শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারের জন্যই এগুলি স্থাপন করা হবে। ‘উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ’ ইতিমধ্যেই ৩৪টি স্বাস্থ্য ইউনিটের জন্য দরপত্র প্রকাশ করেছে।
সোমবার রাজ্য বিধানসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে, মলয় ঘটক বলেন, ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত, শ্রম বিভাগে রেজিস্টার্ড শ্রমিকের সংখ্যা ৯ লক্ষ পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তাঁদের সুবিধার জন্য ৯ কোটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে, এখনও পর্যন্ত শ্রম বিভাগের সঙ্গে প্রায় ১.৫২ কোটি শ্রমিকের নাম জুড়েছে। মোট পরিমাণ ২,১০০ কোটি টাকা এখনও পর্যন্ত বরাদ্দ করা হয়েছে।