রবিবার রাত ৯টা নাগাদ চায়ের দোকানে গুলি করে খুন করা হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিষ্ণুপুরের তৃণমূল নেতা সাধন মণ্ডলকে। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এরজেরে মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল নেতার। সেই ঘটনায় পুলিশ পাঁচ বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল। অভিযুক্তদের নাম হল শুভাশিস মণ্ডল, স্বপন মণ্ডল, তাপস মণ্ডল, অরুন মণ্ডল ও স্বরুপ মণ্ডল। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুলিশ তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ বিজেপি কর্মী এলাকারই বাসিন্দা। সাধনের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সাধনের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তিনি একজন দক্ষ সংগঠক ছিলেন। সেই কারণেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে।
রবিবার রাতের ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে তৃণমূল। যদিও তা অস্বীকার করেছে গেরুয়াশিবির। তাদের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।আঁধারমানিক অঞ্চলের সভাপতি পিন্টু সর্দারের অভিযোগ, ‘এর আগে বেশ কয়েকবার ওই তৃণমূল নেতাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে বহুবার চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তিনি একজন দক্ষ সংগঠক ছিলেন তাই তাঁকে বিজেপি দলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু, বিজেপিতে যোগ দিয়ে অস্বীকার করায় তাঁকে খুন করা হয়েছে।’