মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতোই সারি ও সারনাকে আলাদা ধর্মীয় জনজাতিগোষ্ঠী হিসাবে স্বীকৃতি দিতে শুক্রবার বিধানসভায় প্রস্তাব গৃহীত হলো। এই প্রস্তাব এ বার পাঠানো হবে কেন্দ্রে। কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন দেওয়ার পর এই প্রস্তাব কার্যকরী হবে। সারনা ধর্মের স্বীকৃতি আদায়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন।
দাবি আদায়ে এপ্রিলে অনির্দিষ্টকাল ‘চাক্কা জ্যাম’ আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদিবাসী সংগঠনগুলি। তার আগেই সারি ও সারনাকে আলাদা ধর্মীয় জনজাতিগোষ্ঠীর মর্যাদা দিতে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ তৃণমূলের ‘মাস্টার স্ট্রোক’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। এর সঙ্গে আদিবাসীদের আবেগ জড়িয়ে।
আদিবাসীদের বড় অংশ সারি ও সারনা ধর্মে বিশ্বাসী। তাঁরা নিজেদের বৃহত্তর হিন্দু জনগোষ্ঠীর অংশ মনে করেন না। বিধানসভায় তৃণমূলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও গত লোকসভা ভোটে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কে ভালোই থাবা বসিয়েছিল বিজেপি।
পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে আদিবাসী-প্রধান এলাকায় বিধানসভা ভোটেও ভালো ফল করে বিজেপি। দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি করার পর থেকে দেশজুড়েই কেন্দ্রের শাসকদল নিজেদের আদিবাসী-বন্ধু প্রমাণে প্রচারে নেমেছে। আসন্ন পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে এই প্রচারের মোকাবিলায় সারি ও সারনা নিয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করানো রাজ্যের শাসকদলের জমি ফেরাবে বলে অনেকের দাবি।