আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবার উত্তরবঙ্গ সফরে যেতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড়ের মাটিতে ফের পা পড়তে পারে তাঁর। এদিন একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন-সহ মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরের বিবরণ ঘোষণা করা হয়েছে। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন-সহ পাহাড় সফরের কথা জানান। শিলিগুড়ির এসজেডিএ অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ”চলতি মাসের ২১শে ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী আসছেন। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার-সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। এছাড়াও পাহাড়ে যাবেন মমতা।” এদিন শিলিগুড়ি কমার্স কলেজের স্থায়ী সমাধানের কথাও জানানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শিলিগুড়ি কমার্স কলেজ জমি জটে আটকে ছিল। শিলিগুড়ি কলেজকে ভাড়া দিয়ে চলত শিলিগুড়ি কমার্স কলেজ। এ নিয়ে একাধিকবার নানান সময়ে পর্যালোচনা হয়েছে। একের পর এক ফাইল রিপোর্ট পেশ হয়েছে। সেই সমস্যার সুরাহা মিলল।
এপ্রসঙ্গে সৌরভ জানান, “জমি জট কাটিয়ে শিলিগুড়ির সন্নিকটে কাওয়াখালি এলাকায় শিলিগুড়ি কমার্স কলেজ চালু হতে চলেছে। তা তৈরি করবে এসজেডিএ। চেষ্টা করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর সফর চালাকানীনই তার হাত দিয়ে উদ্বোধনের। এ বিষয়ে কমার্স কলেজকেও অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ আইনি নানাবিধ সমস্যা ছিল, তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে।” পাশাপাশি তিনি আরও জানান, “শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, বাগডোগরা,ময়নাগুড়ি, মালবাজার-সহ প্রায় ৪০ টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বরাত চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। তার অনুমতি মিলেছে ৷ ২৫ কোটি টাকা ব্যায়ে বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করবে এসজেডিএ ৷ তার মধ্যে শিলিগুড়ি পুরসভারও বেশ কিছু ওয়ার্ডের কাজ রয়েছে।” সূত্রের খবর, সাড়ে নয় কোটি টাকা ব্যয়ে লাটাগুড়িতে ইকোপার্ক কাম রিসর্ট তৈরি করা হয়েছে। পাঁচতারা হোটের ন্যায় এই রিসর্টের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়ি শহরের উপর বর্ধিত চাপ কমাতে নতুন বাসস্ট্যান্ডের ব্লু প্রিন্ট রেডি হয়ে গিয়েছে। শহরের নৌকাঘাট মোড়ে পয়েন্ট পাঁচ একর জমির উপর তৈরি হচ্ছে। নতুন বাস টার্মিনাস। বহুদিন সেই জমি বা জমির উপর তৈরি হওয়া বিল্ডিংয়ের মালিকের খোঁজ মিলছিল না। সেই সব সমস্যা কাটিয়ে তাঁকে এসজেডি থেকে উন্নয়নমূলক কাজে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করা হয়েছে। জমি মালিক সম্মত হয়েছেন৷ এখানে সরকারি কোন টাকা ব্যয় হবে না। সম্পূর্ণটাই তৈরি করবেন সেই জমি মালিক। প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন বাস স্যান্ড। তবে তত্ত্বাবধানে থাকবে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন দফতর, জানা গিয়েছে এমনটাই।