বাংলার রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সু-সম্পর্ক’ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা চলছে। কিন্তু, সম্প্রতি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যে সন্ত্রাস ও অবাধ পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজভবন। মুখ্যমন্ত্রীর ‘নেক নজরে’ থাকা আইএএস অফিসার নন্দিনী চক্রবর্তীকে প্রধান সচিব পদ থেক তদ্বির করার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজভবন-নবান্ন সুসম্পর্ক কী এখনও আগের মতোই রয়েছে?
রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা চলছে। এর মধ্যে রাজ্যপাল ইস্যুতে মুখ খুলে কার্যত বোমা ফাটালেন বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীর ধনখড় প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল বিধায়ক বলেন ‘ধনকর গেম ইজ স্টার্টেড! উনিধনকড়ের পথেই যাচ্ছেন।” তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগণা বারাসত-আমডাঙা এলাকায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল এবার ধনকরের পথেই হাঁটছেন। ধনকরের পথে হাঁটলে উনি বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে থেকে যাবেন। আমি বলেছিলাম আগেই, কেন্দ্রের কথা না শুনলে উনি রাজ্যপাল হিসেবে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করতে পারবেন না।”
তৃণমূলের এই অভিনেতা-বিধায়ক আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করার পর এই বদল হয়নি, মাঝে একবরা উনি দিল্লিতেও গিয়েছিলেন। একজন সুস্থ, সুন্দর মানুষ যেভাবে বাস্তবসম্মত পথে যাচ্ছিলেন, নিয়মমাফিক কাজ করতে চাইছিলেন, তাঁকে বাধা দেওয়া হল বলেই আমার মনে হচ্ছে’।