ভারতে মুসলিমদের অবস্থা, গুজরাত দাঙ্গার সময় মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা— ইত্যাদি নিয়ে বিবিসি একটি তথ্যচিত্র বানিয়েছে। দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় গোধরাকাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে। যা নিয়ে প্রথম থেকেই অসন্তুষ্ট কেন্দ্রের মোদী সরকার। এবার বিবিসির স্বি তথ্যচিত্র নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)। শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি তাদের মুখপাত্র ‘পাঞ্চজন্য’-এর একটি সম্পাদকীয় নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে যে, ভারত-বিরোধী শক্তি সুপ্রিম কোর্টকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে।
২০০২ সালে নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় সে রাজ্যে সংখ্যালঘুদের কেমন অবস্থা ছিল, তা নিয়ে দুই পর্বে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। কিন্তু ‘ইন্ডিয়া: দি মোদী কোয়েশ্চেন’ শীর্ষক তথ্যচিত্রটি বিশেষ তথ্যপ্রযুক্তি আইন প্রয়োগ করে ইউটিউব-সহ যাবতীয় সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। ওই মামলায় কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব করে দেশের শীর্ষ আদালত।
বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্ত্রীরা কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও বিজেপির একাধিক নেতা বিবিসির তীব্র সমালোচনা করে জানান, দেশকে খাটো করার জন্যই মিথ্যা এবং বিকৃত তথ্য পরিবেশন করছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি। ‘পাঞ্চজন্য’র সম্পাদক হিতেশ শঙ্করের লেখা ওই সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়েছে, দেশের জনগণের অর্থে সুপ্রিম কোর্ট রয়েছে মূলত দেশের স্বার্থকে রক্ষা করার জন্য। কিন্তু দেশবিরোধী শক্তি দেশের গণতন্ত্র, উদারনীতির সুযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে ওই লেখায়। কিছু ‘সন্ত্রাসবাদী’ মানবাধিকারের নাম করে এবং সুপ্রিম কোর্টকে ব্যবহার করে দেশের উন্নয়নের গতিকে রোধ করছে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই সম্পাদকীয় নিবন্ধে। এবং পরিশেষে বিবিসির তথ্যচিত্রটিকেও ‘মিথ্যা এবং কাল্পনিক’ বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
