৪৮ ঘণ্টা পরও দিল্লির বিবিসি অফিসে আয়কর কর্তারা ‘সমীক্ষা’ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিবিসির দিল্লি অফিসে আটকে আছেন দশ জন কর্মী। তাঁদের বাড়ি যাওয়ার অনুমতি মেলেনি।
আয়কর দফতর সরকারিভাবে এই অভিযানকে ‘হানা’ বলছে না। তারা বলছে এটা রুটিন সমীক্ষা। তারা বিবিসি-র ব্যবসা সম্পর্কিত লেনদেন খতিয়ে দেখছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১’টা থেকে শুরু হয়েছে তাদের সমীক্ষা।
গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে বিবিসি-র তথ্যচিত্র ঘিরে দেশে শোরগোল চলছে। তার মধ্যেই আয়কর দফতরের অভিযান ঘিরে বিতর্ক আরও চড়েছে। বিরোধীরা বলছে, এটা সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, এটা সংবাদ মাধ্যমের উপর প্রতিহিংসা।
কংগ্রেস বলেছে, বিনাশকালে বুদ্ধি লোপ পেয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের।
প্রসঙ্গত, ২০০২-এর গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে বিবিসি-র তৈরি তথ্যচিত্রটি ওই সংস্থা ভারতে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেনি। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে সেটি ছড়িয়ে পড়ে। তথ্যচিত্রটিতে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা এবং ভারতে মুসলিমদের দুর্দশা তুলে ধরা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার ভারতে এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই নির্দেশ নিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। উচ্চ আদালত, কেন্দ্রের থেকে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানতে চেয়েছে।
এই বিতর্কের আবহেই বিবিসি-র দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে আয়কর হানা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।