২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তল্লাশি অব্যাহত। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এল বিবিসির দিল্লি কার্যালয়ের অন্দরে আয়কর দফতরের আধিকারিক এবং বিবিসির এক কর্মীর কথা কাটাকাটির ভিডিও। যদিও ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ‘এখন খবর’।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, আয়কর দফতরের এক আধিকারিক বিবিসি অফিসে ঢুকতে গেলে সেখানকার এক কর্মী তাঁকে ওয়ারেন্ট (প্রবেশ করার বৈধ অনুমতিপত্র) দেখাতে বলেন। এর পর ওই আয়কর দফতরের আধিকারিককে সুর চড়িয়ে প্রথমে নিজের পরিচয় দিতে দেখা যায় এবং পরে বিবিসি কর্মীদের ফোন রেখে দেওয়ার নির্দেশ দিতে দেখা যায়।
প্রকাশ্যে আসা ওই ভিডিওতে এক মহিলাকণ্ঠও শোনা গিয়েছে। মহিলাকে ভিডিওতে না দেখা গেলেও তাঁকে ওই সরকারি আধিকারিককে ভাল ভাবে এবং চিৎকার না করে ‘ভদ্র ভাবে’ কথা বলতে বলেন। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এর পরই সরকারি আধিকারিক আরও খানিক সুর চড়িয়ে জানতে চান, কেন বিবিসির কর্মীরা দশ মিনিট ধরে কার্যালয়ের গেট খুলছিলেন না? সংক্ষিপ্ত ওই ভিডিওটি টুইটারে পোস্ট করেছেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির নাগাল্যান্ডের মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর সুজাতা পাল।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ আয়কর দফতরের দল এসে পৌঁছয় দিল্লি এবং মুম্বইয়ে বিবিসির দফতরে। অফিসে ঢুকেই বিবিসির সমস্ত সাংবাদিক এবং সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ জমা নিয়ে নেন আয়কর আধিকারিকরা। তার পর শুরু হয় ‘সমীক্ষা’। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়েও যে ‘সমীক্ষা’ চলছে।