বুধবার বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন বাজেট ভাষণে তিনি বলেন কেন্দ্রের মোদী সরকারের অদূরদর্শিতা এবং ভ্রান্ত নীতির জন্য আমাদের দেশ কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অস্বাভাবিক মূল্য মুদ্রাস্ফীতি এবং ডিজেল পেট্রোল কেরোসিন খাদ্য সামগ্রী ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বস্তুর আকাশছোঁয়া মূল্য বৃদ্ধির জন্য দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুদিন ধরেই জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির ফলেই দেশের আর্থিক অবস্থা দিন দিন বেহাল হচ্ছে, বাড়ছে বেকারি। আজ বাজেট ভাষণে তাঁর অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা এই প্রসঙ্গের অবতারণা করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ভুল আর্থিক নীতি, নোটবন্দি এবং অপ্রস্তুত অবস্থায় জিএসটি চালুর ফলে শুধুমাত্র সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন তাই নয় দেশের যুক্তরাষ্ট্র কাঠামোতো আঘাত এসেছে।
চন্দ্রিমা বাজেট ভাষণে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বাংলার বরাদ্দ ছাঁটাই এবং মিড-ডে মিলে কম অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি বিশদে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট বরাদ্দ হ্রাস করাটা নক্কারজনক সিদ্ধান্ত। গত বছর এই খাতে ৮৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এবার তা কমিয়ে করা হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা।
চন্দ্রিমা বলেন, এই স্কিমে নয় কোটি সক্রিয় কর্মী রয়েছেন, যাদের অনলাইন উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে নেটওয়ার্ক সংযোগ নিষ্ক্রিয় থাকার ফলে এই কর্মীদের অযথা হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এ রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দ লজ্জাজনকভাবে কমিয়ে দিয়েছে, যা গরিব মানুষের জীবিকা নির্বাহের পরিপন্থী।