বিবিসির দফতরে আয়কর ‘হানা’ নিয়ে বিরোধীদের সুরেই সুর মেলাল এডিটর্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়া। গিল্ডের বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে ভয় দেখানো এবং হেনস্তার যে প্রবণতা শুরু হয়েছে, সেটা চলেই যাচ্ছে। দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের সংগঠনটির তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে গোটা ঘটনায় বিশেষ উদ্বেগপ্রকাশ করা হয়েছে।
এডিটর্স গিল্ডের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারি এজেন্সিকে ব্যবহার করে সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখানো এবং হেনস্তা করার যে ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, বিবিসির দপ্তরে আয়কর বিভাগের ‘সমীক্ষা’ও সেটারই বর্ধিত প্রক্রিয়া। গিল্ডের তরফে বলা হয়েছে, ২০২১ সালেও নিউজক্লিক, নিউজলন্ড্রি, দৈনিক ভাস্কর, দৈনিক সমাচারের মতো সংবাদমাধ্যমের দফতরে আয়কর হানা হয়েছিল। এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরকারের সমালোচনামূলক কোনও খবর বের হওয়ার পর। এডিটর্স গিল্ডের অভিযোগ, এই ট্রেন্ড সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে হানা দেয় আয়কর বিভাগ। সূত্রের খবর, বিবিসির দুই অফিসে হানা দিয়েই কর্মীদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়। যাঁরা তখনও অফিসে ঢোকেননি, তাঁদের ঢুকতে বাধা দেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। সেই তল্লাশি এখনও চলছে। সূত্রের খবর, রাতভর আয়কর বিভাগের কর্মীরা বিবিসির দপ্তরে তল্লাশি চালাবেন। যদিও আয়কর বিভাগের সূত্র এই ঘটনাকে ‘হানা’ বা ‘রেইড’ বলতে নারাজ। আয়কর বিভাগ বলছে, বিবিসির অফিসে শুধু সমীক্ষা চালানো হয়েছে। আর তাছাড়া বহুদিন আগে থেকেই নাকি বিবিসিকে নোটিস দিয়ে আসছে আয়কর বিভাগ। সেই নোটিসের কোনও উত্তর না মেলায় এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।