হাতে আর বেশিদিন নেই। সামনেই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে নিজেদের নির্বাচনী ইস্তেহারে ডিএ নিয়ে বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূল। তারা জানিয়েছে, ক্ষমতায় এলে বছরে দু’বার করে ডিএ বাড়বে। এদিকে ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের জন্য বামফ্রন্টের ইস্তেহারে দাবি করা হয়েছে, ফের একবার রাজ্যে ওল্ড পেনশন স্কিম চালু করা হবে। পাশাপাশি বছরে সরকারি কর্মীদের জন্য দু’বার করে ডিএ বৃদ্ধি করা হবে বলেও দাবি করা হয়েছে ইস্তেহারে। আসলে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণাকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছেন অনেকেই। এই সবের মাঝেই বিজেপির মাথা ব্যথার কারণ এনপিএস।
এর আগে এনপিএস বনাম ওপিএস বিতর্কের মাঝে হিমাচলপ্রদেশে নির্বাচনে হারে বিজেপি। সেই রাজ্যে কংগ্রেসের ইস্তেহারে অন্যতম বড় প্রতিশ্রুতি ছিল ওল্ড পেনশন স্কিম চালু করার। পরে নির্বাচনে জিতে কংগ্রেস সরকারের তরফে ওপিএস চালু করার ক্ষেত্রে পদক্ষেপও করা হয়েছে। শুধু হিমাচল নয়, কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানেও ওপিএস চালু করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে সরকার। এই আবহে ত্রিপুরার নির্বাচনে এই ইস্যুটি কতটা বড় আকার ধারণ করে, তা সময়ই বলবে। এদিকে হিমাচলের মতো ত্রিপুরাতেও একই সংকটের মুখে বিজেপি। এর কারণ হল, সিপিএম প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাদের সরকার গঠিত হলে পুরনো পেনশন স্কিম কার্যকর করা হবে।
আসলে ছোট রাজ্য ত্রিপুরায়ও হিমাচলের মতো সরকারি কর্মচারীদের একটি বড় অংশ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পুরনো পেনশন প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি বিজেপিকে চাপে ফেলতে পারে। এখনও পর্যন্ত বিজেপি কোনও রাজ্যে পুরানো পেনশন স্কিমের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও ঘোষণা করেনি। এমতাবস্থায় বিরোধীরা এ নিয়ে আক্রমণাত্মক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাতে ব্যাকফুটে পড়েছে বিজেপি। ত্রিপুরায় ১ লক্ষ সরকারি কর্মচারী এবং ৮০,৮০০ পেনশনভোগী রয়েছে। যদি এই পরিবারগুলি পেনশন ইস্যুতে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে এটি নির্বাচনের সিদ্ধান্তকারী ফ্যাক্টর হতে পারে।