আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিল, তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভূমিকম্পের জেরে মৃতের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে৷ তাদের আশঙ্কাকে সত্যি করেই তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আর তাই সমাধিস্থলেও স্থান সংকুলান হচ্ছে না৷ গণকবর দেওয়ার জন্য তাই শহরের বাইরে পাইন গাছের বন কেটে সাফ করা হচ্ছে। এমনই হৃদয়বিদারক ছবি এখন তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরের।
ভয়াল ভূমিকম্পে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ইতিমধ্যেই ৩৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে৷ তাই জঙ্গল পরিষ্কার করে যন্ত্রের সাহায্যে কবর খোঁড়ার কাজ চলছে৷ রবিবার তুরস্কের মারাসেরবিবার ৫ হাজার মৃতদেহ একসঙ্গে সমাধিস্থ করা হয়৷ সমাধিস্থলের কাছেই তাঁবু খাটিয়ে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
মৃতদেহের সারির মধ্যে নিজেদের প্রিয়জনকে খুঁজে পেতেই সমস্যায় পড়ছেন মৃতের পরিবার এবং আত্মীয়রা৷ সমাহিত করার আগে রীতি মেনে প্রার্থনা এবং ধর্মীয় আচার পালনের জন্যও ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন৷ অন্যদিকে কয়েক মিনিট অন্তর অন্তর নতুন নতুন মৃতদেহ নিয়ে সমাধিস্থলে পৌঁছচ্ছে শববাহী বহনকারী গাড়ি৷ তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে যন্ত্রের সাহায্যে মাটি খোঁড়ার কাজ৷ যাতে আরও বেশি সংখ্যক মৃতদেহকে জায়গা করে দেওয়া যায়৷