এবার বিজেপির সেই ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের পাল্টা তত্ত্ব দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সামনেই ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। আর পাঁচটা রাজ্যের মতো সেখানেও ভোট বৈতরণী পার হতে ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের তত্ত্ব নিয়ে হাজির গেরুয়াশিবির। দিন দুই আগে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেরাজ্যে প্রচারে গিয়ে বলে এসেছেন, ডবল ইঞ্জিন সরকার থাকলে, রাজ্যে উন্নয়ন হবে দ্বিগুণ গতিতে। বিজেপির সেই ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারেরই পাল্টা ডবল ইঞ্জিন সরকারেরই তত্ত্ব দিলেন কুণাল রবিবার ত্রিপুরায় ভোটপ্রচারে গিয়ে তিনি বলেন, ত্রিপুরাতে ডবল ইঞ্জিন সরকারই হবে। তবে ‘ডবল ইঞ্জিন’ বলতে তিনি বাংলা ও ত্রিপুরা সরকারের একসঙ্গে চলাকে বুঝিয়েছেন। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল বলেন, “ত্রিপুরায় ডবল ইঞ্জিন সরকারের নেতৃত্ব দেবেন বাংলারর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরার ভূমিপুত্রই হবেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এভাবেই চলবে দুই রাজ্যের ডবল ইঞ্জিনের কাজ।”
পাশাপাশি, তৃণমূলের অন্যতম প্রধান মুখপাত্রের দাবি, দিল্লী এবং ত্রিপুরার ডবল ইঞ্জিন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে প্রতি মাসে ত্রিপুরায় যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপদেশ দেবেন। বাংলার জনপ্রিয় সব প্রকল্প চালু হবে ত্রিপুরাতেও। তিনি বলেন, “উন্নয়নের নিরিখে গোটা দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা। বাংলার উন্নয়নের মডেলেই চলবে ত্রিপুরা।” পাশাপাশি কুণাল জানিয়েছেন, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর বদলে ত্রিপুরায় নিজেরাই নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নিয়েছে বিজেপি। ত্রিপুরা নিয়ে চিন্তিত বলেই প্রধানমন্ত্রীকে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করতে হচ্ছে। বিজেপির পাশাপাশি বাম এবং কংগ্রেসের ‘অনৈতিক’ জোটকেও তুলোধোনা করেছেন কুণাল। তাঁর বক্তব্য, বাম এবং কংগ্রেসের জোট মাণিক সরকারের মতো বর্ষীয়ান সিপিএম নেতারাই মেনে নিতে পারেনি। বাংলায় যে মডেল ব্যর্থ হয়েছে, সেটা ত্রিপুরাতেও সফল হবে না। “ত্রিপুরায় তৃণমূলের সরকার প্রতিষ্ঠা করুন। সেটা হলে, ত্রিপুরাও বাংলার মতো উন্নয়নের নিরিখে গোটা দেশের মধ্যে নজির গড়বে”, ত্রিপুরাবাসীর কাছে আহ্বান কুণালের।