ওষুধ থেকে রেস্তোরাঁর খাবার ডেলিভারি, প্যাথলজিক্যল ল্যাবের নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে রিপোর্ট আদান-প্রদান— সম্প্রতি দেশের একাধিক শহরে ড্রোনের মাধ্যমে এই সকল কাজ হচ্ছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল কলকাতাও।
সরকারি সূত্রের খবর, শুক্রবার একটি ড্রোন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সবুজ সংকেত দিয়েছে। তার আগে সাত দিন ধরে ওই সংস্থার ড্রোন পরিষেবার ট্রায়াল হয়েছে তিলোত্তমার আকাশে। একটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের নমুনা সংগ্রহ করে হাওড়ার কদমতলা থেকে সল্টেলেকের সেক্টর ফাইভে পাঠানো হয়।
এটিসি-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শহরে ড্রোন অপারেশনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে সকাল সাড়ে নয়টা এবং বিকেল সাড়ে চারটে। যাত্রাপথে এই দুই জায়গার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। সেখানে আকাশ পথ অতিক্রম করতে হয় মাত্র ১৫ কিলোমিটার এবং ১৫ মিনিটের মধ্য গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয় সেই নমুনা। গাড়িতে এই পথ অতিক্রম করতে লাগে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। পরীক্ষার রিপোর্টও ফিরতি পথে ১৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এদিকে কলকাতায় ৬০ এবং হাওড়ায় ১২০ মিটার ওপর দিয়ে ড্রোন চালানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরে ড্রোন পরিষেবার জন্য এটিসি আলাদা একটি সেল তৈরি করেছে। পাশাপাশি বিমান চলাচলের সময় ড্রোনের রুট পরিবর্তন করা হবে বলে জনা গিয়েছে।
তবে নবান্ন চত্ত্বর-সহ বেশ কিছু এলাকা নো-ফ্লাইয়িং জোন হিসাবে চিহ্নিত করেছে কলকাতা এটিসি। দিল্লীর ড্রোন সংস্থাটি জানিয়েছে, কলকাতা ও হাওড়ায় আপাতত ১৫টি কেন্দ্র খুলে ১৪টি রুটে ড্রোন চালু করা হবে। অর্থাৎ এই দুই শহরের ১৪টি জায়গায় ড্রোনের সাহায্যে এবার খাবার, ওষুধ, প্যাথলজিক্যাল নমুনা সংগ্রহ-সহ বিভিন্ন হোম ডেলিভারির সুবিধা মিলবে।